Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

কেমন শাড়ি পছন্দ নীতা আম্বানির

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৩৪ পিএম

কেমন শাড়ি পছন্দ নীতা আম্বানির

ফাইল ছবি

ভারতের ধনকুবের মুকেশ আম্বানির স্ত্রী নীতা আম্বানি বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য সবসময় বেছে নেন খাঁটি ভারতীয় ঐতিহ্যবাহী শাড়ি। তার চাহিদা অনুযায়ী, সেই শাড়িতে হয়তো কিছু আলাদা নকশা তুলে দেন পোশাকশিল্পীরা, কিন্তু বুনন থাকে ভারতীয় তাঁতিদেরই।

পোশাকশিল্পীরা চাইলে তার জন্য বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সুতায় শাড়ি বুনিয়ে দিতে পারেন । কিন্তু আম্বানিপত্নী খাঁটি ভারতীয় ঐতিহ্য ধরে রেখে শাড়ি পরেন। তার সেই শাড়িতে কিছু আলাদা নকশা থাকে, আর থাকে বৈচিত্র্য। কিন্তু বুনন থাকে ভারতীয়। তিনি কোন কোন শাড়িতে মুগ্ধ, তাই জানাচ্ছে ভারতীয় একটি গণমাধ্যম—

লাল বেনারসি শাড়ি

রক্তের মতো লাল নয়; যে লালে মিশে থাকে খানিক মিষ্টি গোলাপি আভা। শুধু রঙেই নজর কাড়তে পারত ওই শাড়ি। কিন্তু জমিনজুড়ে অন্য রকম বেনারসির নকশা নজর ঘোরায়। বুটি বা কলকা নয়, শাড়িজুড়ে সোনালি আর রুপালি স্ট্রাইপ। তাতে খুব সূক্ষ্ম নকশার কারুকাজ শিল্পীর হাতযশ বোঝায়। শাড়ির পাড়েও সোনা-রুপার রঙমিলন্তি। আঁচল ঢালা সোনালি রঙের। যে কোনো বিয়েবাড়িতে এমন একটি লাল বেনারসি শাড়ি নানাভাবে পরে আপনি হয়ে উঠতে পারেন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।

গুজরাটি বাঁধনি শাড়ি

আম্বানি পরিবারের শিকড় গুজরাটে। তাই সেই গুজরাটের ঐতিহ্যবাহী শাড়ি বাঁধনি। আবার গুজরাটের শাড়িতে মিরর ওয়ার্কেরও কদর আছে ফ্যাশন দুনিয়ায়। নীতার নীল রঙের বাঁধনি শাড়ির বিশেষত্ব হলো— এর ছোট ছোট আয়না ও মুক্তাপুঁতি দিয়ে করা নকশা। নীল-সাদা বাঁধনির কাজের শাড়ির পাড়ের নকশায় হলুদ, আকাশি, মেরুণ ও গোলাপি আর সবুজের ছোঁয়া। বিয়েবাড়ি তো বটেই, নানা অনুষ্ঠানেও গুজরাটি বাঁধনি শাড়ি নানাভাবে পরে অনুষ্ঠান কিংবা পাটিতে যান আম্বানিপত্নী। তাই আলমারিতে একটি বাঁধনি শাড়ি আপনি রাখতেই পারেন।

লখনৌয়ের চিকনকারী শাড়ি

লখনৌয়ের চিকনকারীর সমাদর দুনিয়াজোড়া। লখনৌয়ের চিকনকারী শিল্পীদের দিয়ে নীতার জন্য শাড়ি তৈরি করিয়েছেন পোশাকশিল্পীদ্বয় আবু জানি ও সন্দীপ খোসলা। চিকনকারীর কাজ সাধারণত হালকা রঙের ওপরেই করা হয়। নীতার শাড়িটিও হালকা বেইজ এবং হালকা গোলাপির মিলমিশ। নীতা শাড়িটি পরেছেন মুক্তা-গাঁথা ব্লাউজ দিয়ে। যে কোনো অনুষ্ঠানে চিকনকারী শাড়ি, মুক্তাপুঁতি গাঁথা ব্লাউজ দিয়ে পরতে পারেন আপনিও।

মহারাষ্ট্রের পৈঠানি শাড়ি

চও়ড়া পাড় ও আঁচলে জড়ির ওপর রেশমের ফুল লতাপাতার নকশা। মিহি সিল্কের একরঙা জমিন। নীতার শাড়ির নকশা অজন্তা গুহার শিল্প-অনুপ্রাণিত। শাড়ির জরিও তৈরি হয়েছে আসল সোনা দিয়ে। মহারাষ্ট্রের পৈঠানি শাড়ির কদর শাড়িপ্রেমীদের কাছে বরাবরই ছিল। তার কারণ পৈঠানির জাঁকজমক। আড়ম্বরপূর্ণ সাজের অনুষ্ঠানের জন্য এমন শাড়ি বেছে নীতা আম্বানি। আপনিও একটা পৈঠানি শাড়ি বেছে নিতে পারেন।

বিহারের সুজনি তসর

তসর শাড়ির প্রতি শৌখিনী বঙ্গললনাদের অনেকেরই দুর্বলতা আছে। নীতা অবশ্য পরেছেন বিহারের সুজনি তসর শাড়ি। তসর রঙের নকশাহীন জমিনের ওপর হালকা ও স্মার্ট নকশার পাড়ে নীতাকে সুন্দর দেখাচ্ছে। তবে নীতাকে দেখে বঙ্গললনাদের তসর কিনতে হবে না নিশ্চয়ই। বাঙালি বাড়িতে খুঁজে পেতে একটি তসর শাড়ি অন্তত পাওয়াই যাবে।

তামিলনাড়ুর কাঞ্জিভরম শাড়ি

তামিলনাড়ুর কাঞ্চিপুরমের শাড়ি কাঞ্জিভরম। ইদানীং ভারতীয় পোশাকশিল্পীরা বলিউডের নায়িকাদের নানা রকমের কাঞ্জিভরম শাড়ি পরাচ্ছেন। নীতাও পরেছেন কাঞ্জিভরম। তবে ঘিয়ে রঙের কাঞ্জিভরম শাড়িতে গাঢ় রঙের পাড় নেই, যেমনটা সাধারণত কাঞ্জিভরম শাড়িতে থাকে। বদলে একরঙা শাড়ির পাড়ে একই রঙের জরির নকশা করিয়ে দিয়েছেন পোশাকশিল্পী মণীশ মালহোত্র। এমন একরঙা কাঞ্জিভরম রাতের ককটেল পার্টিতে পরার পোশাক হিসাবেও আদর্শ।

ছত্তিশগড়ের কোসা সিল্ক শাড়ি

ছত্তীশগড়ের ঐতিহ্যবাহী শাড়ি কোসা সিল্ক। নীতা একটি অনুষ্ঠানে পরেছিলেন সাদা জমির কোসা সিল্ক। ছত্তীশগড়ের ওই সিল্ক বিদেশেও রপ্তানি হয়। এই শাড়ির বিশেষত্ব— তার মাটা জরির পাড় এবং কাজে। জরির রঙ উচ্চকিত নয়। সে জন্যই ওই শাড়ি বিশেষ দিনে অফিসেও যেমন পরা যায়, তেমনই সেজেগুজে পরে নেওয়া যায় পার্টি উপলক্ষ্যেও।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম