আল-কাদির ট্রাস্ট মামলার রায় ন্যায়বিচারের প্রতি বিদ্রুপ, লড়াইয়ের ঘোষণা ইমরানের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:১৫ পিএম
ছবি: সংগৃহীত।
১৯০ মিলিয়ন পাউন্ড আল-কাদির ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে। ইমরান খানকে ১৪ ও বুশরা বিবিকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির বিচারিক আদালত। এই রায়কে ন্যায়বিচারের প্রতি বিদ্রুপ হিসেবে উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইমরান খান। আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স ও ফেসবুকে এক বিবৃতিতে খানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, খান আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় আদালতের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করেছেন। এই রায়কে একটি পূর্বপরিকল্পিত পদক্ষেপ হিসেবে দাবি করেছেন। কেননা, আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে ইতোমধ্যেই এসব বিষয় মিডিয়াতে ফাঁস করা হয়েছে। যা আইনের অখণ্ডতাকে ক্ষুণ্ণ করে।
একই সঙ্গে পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ‘সামরিক-সমর্থিত শাসনের’ বিরুদ্ধে তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। সেই সঙ্গে ঘোষণা করেছেন, তিনি এই রায় কখনই মেনে নেবেন না। ‘আমি সত্যিকারের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের জন্য আমার সংগ্রাম চালিয়ে যাব, এমনকি যদি এর জন্য আমাকে জেলে আরও বেশি সময় কাটাতে হয় তবুও।’ একই সঙ্গে খান জোর দিয়ে বলেন, তার নীতি বা জাতির সত্যিকারের স্বাধীনতার লড়াইয়ের সাথে কোনও আপস করা হবে না।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, তার সংকল্প হচ্ছে গণতন্ত্র, আইনের শাসন এবং পাকিস্তানের জনগণের জন্য সত্যিকারের স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়া। এ ব্যাপারে খান বলেন, ‘আমরা শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করব এবং আমি কোনো আপস করব না। আমার বিরুদ্ধে আনা সব মিথ্যা মামলার মুখোমুখি হব।’
উল্লেখ্য, রাওয়ালপিন্ডির একটি জবাবদিহি আদালত শুক্রবার ইমরান খানকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড এবং বুশরা বিবিকে ১৯০ মিলিয়ন পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। সেই সঙ্গে রায়ের পর বুশরা বিবিকে আদালতের কক্ষে আটক করা হয়। পাশাপাশি জরিমানা হিসেবে ইমরান খানকে ১ মিলিয়ন রুপি এবং বুশরা বিবিকে ৫ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে খান অতিরিক্ত ৬ মাস ও ৩ মাস বুশরা বিবিকে জেলে থাকতে হবে।