Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

কানাডার একটি ভারতীয় স্কুলে আরও ১১৪ কবরের সন্ধান

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩১ পিএম

কানাডার একটি ভারতীয় স্কুলে আরও ১১৪ কবরের সন্ধান

কানাডার উত্তর অন্টারিওতে অবস্থিত সাবেক ম্যাকইন্টশ ইন্ডিয়ান রেসিডেনশিয়াল স্কুলে আরও ১১৪টি সম্ভাব্য অচিহ্নিত কবরের সন্ধান মিলেছে। কবরগুলো শিশুদের বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

বৃহস্পতিবার একটি অনুসন্ধান দলের বরাত দিয়ে তুর্কি সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, উইকওগ্যামিং টিনাথিসিওয়িন প্রকল্প দলের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘ঐতিহাসিক সমাধিক্ষেত্র এলাকায় ৭টি চিহ্নিত সমাধি স্মৃতিস্তম্ভের উপস্থিতি আগেই জানা ছিল। তবে ভিজ্যুয়াল জরিপে অতিরিক্ত ১১৪টি অচিহ্নিত কবর শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০৬টি ঐতিহাসিক সমাধিক্ষেত্র এলাকায় এবং বাকি ৮টি স্কুলটির পরিত্যক্ত ক্যাম্পাসের অন্যত্র অবস্থিত’।

ইন্ডিয়ান রেসিডেনশিয়াল স্কুলটি ১৯২৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৬৯ সালে এটি বন্ধ হয়ে যায়।  রোমান ক্যাথলিক মিশনারিরাই স্কুলটি পরিচালনা করতেন।

গবেষণা দল জানিয়েছে, ‘ঐতিহাসিক গবেষণায় ১৬৫ জনের নাম পাওয়া গেছে। যাদের ম্যাকইন্টশ ইন্ডিয়ান রেসিডেনশিয়াল স্কুলের ক্যাম্পাসে দাফন করা হয়েছিল। দাফনকৃতদের বেশিরভাগই শিশু। পাশাপাশি গ্রাসি নারোস ফার্স্ট নেশনের কিছু প্রাপ্তবয়স্ক এবং অন্তত দুজন ওবলেটস অব মেরি ইম্যাকুলেট স্কুলের প্রশাসকও রয়েছেন’।

অনুসন্ধান পদ্ধতি

স্কুলের ওই জায়গাটিতে মাটির নিচের চিত্র শনাক্ত করার জন্য গ্রাউন্ড পেনিট্রেটিং রাডার (GPR) ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন পরিত্যক্ত রেসিডেনশিয়াল স্কুলের ক্যাম্পাসে এই পদ্ধতি ব্যবহৃত হচ্ছে। ম্যাকইন্টশ স্কুলের ক্ষেত্রে পাওয়া ফলাফলগুলো কবরের আকার ও আয়তনের সঙ্গে মিলে গেছে।

রেসিডেনশিয়াল স্কুলের ইতিহাস

ম্যাকইন্টশ ছিল প্রায় ১৩০টি ইন্ডিয়ান রেসিডেনশিয়াল স্কুলের একটি। এই স্কুলগুলোর বেশিরভাগই রোমান ক্যাথলিক চার্চ দ্বারা পরিচালিত হতো। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে কানাডা সরকার কর্তৃক এই স্কুলগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়।

এই স্কুলগুলোতে শিশুদের বাধ্যতামূলকভাবে পাঠানো হতো। এতে সরকারের উদ্দেশ্য ছিল আদিবাসী সংস্কৃতি নির্মূল করে তাদের ইউরোপীয় শ্বেতাঙ্গ সংস্কৃতিতে রূপান্তরিত করা।

এতে বহু শিশু শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয় এবং অপুষ্টিতে ভুগে মারা যায়। আনুমানিক ৪,৫০০ শিশু মারা গেছে বলে ধারণা করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে, অভিভাবকদেরকে তাদের সন্তানদের ভাগ্যে কী ঘটেছে সে সম্পর্কে কখনোই জানানো হয়নি। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম