হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইসরাইল-হামাস চুক্তি বিশ্ব নিরাপত্তাকে শক্তিশালী করবে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:২১ পিএম

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি এবং বন্দিদের মুক্তির নিয়ে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে শান্তি চুক্তির খবরে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে হাঙ্গেরি।
এই চুক্তি কেবল মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যই সহায়ক হবে না, বরং বিশ্ব নিরাপত্তা শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সিজিয়ার্তো।
তিনি বৃহস্পতিবার ইসরাইল-ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মধ্যে স্বাক্ষরিত হতে যাওয়া চুক্তি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন।
পিটার সিজিয়ার্তো তার ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, ‘বন্দিদের মুক্তি এবং গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি একটি ভালো খবর। এটি যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে শান্তিপূর্ণ জীবনযাপনের সম্ভাবনাকে আরও ত্বরান্বিত করবে এবং বিশ্ব নিরাপত্তায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে’।
এ সময় তিনি এই চুক্তি নিয়ে মধ্যস্থতা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, মিসর এবং কাতারের কূটনীতিকদের ধন্যবাদ জানান।
হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটি অগ্রহণযোগ্য যে, বহু সংখ্যক বন্দি ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে তাদের পরিবারের কাছ থেকে আলাদা হয়ে আছে। তাই আমরা সব পক্ষকেই আহ্বান জানাই, যাতে চুক্তির সব পর্যায় পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হয়’।
একই সঙ্গে হাঙ্গেরীয় মন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, একজন হাঙ্গেরীয় নাগরিক যিনি ওই সময় (৭ অক্টোবর, ২০২৩) ইসরাইলে অবস্থান করছিলেন এবং হামাস যোদ্ধাদের হাতে তিনি আটক হয়েছেন, তাকে মুক্তি দেওয়া হবে।
এর আগে মিসর, কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় অবশেষে ইসরাইল ও হামাস গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি এবং বন্দিদের মুক্তি সংক্রান্ত একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর খবর পাওয়া যায়।
বুধবার রাতে কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি বিশ্বকে এই সুখবরটি দেন।
তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আলোচিত এই চুক্তিটি ১৯ জানুয়ারি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
গাজা যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে অর্থাৎ ৪২ দিনের সময়কালে হামাস ৩৩ জন বন্দির মুক্তি দেবে। যাদের মধ্যে নারী, শিশু, বৃদ্ধ এবং আহত ব্যক্তিরা রয়েছেন। এর বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
এছাড়া আল জাজিরার সূত্র অনুযায়ী, দখলদার ইসরাইল তার সেনাদের গাজা উপত্যকার সীমানা থেকে ৭০০ মিটার দূরে সরিয়ে নেবে।
চুক্তির দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ের বিস্তারিত তথ্যের মধ্যে- গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছে। যা নিয়ে প্রথম পর্যায় বাস্তবায়নের পর আলোচনা করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্র: তাস