
প্রিন্ট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:২৩ এএম
‘গাজা কে শাসন করবে’ প্রশ্নে যা বললেন ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৫ পিএম

আরও পড়ুন
গাজা যুদ্ধের পর অঞ্চলটির শাসন কেবল ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অধীনে থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তাফা। বুধবার নরওয়েতে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেছেন।
ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী এ সময় বলেন, আশা করা হচ্ছে, যুদ্ধবিরতি এবং গাজায় আটক ইসরাইলি বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে চুক্তি শীঘ্রই সম্পন্ন হবে।
যুদ্ধের অবসানে গাজা উপত্যাকা কে শাসন করবে- এটিই এখন আলোচনার অন্যতম প্রধান প্রশ্ন। যা এখন পর্যন্ত একটি অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং ইসরাইলি জেলে আটক ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিনিময়ে গাজায় আটক বন্দিদের মুক্তির ওপর কেন্দ্রীভূত।
মোহাম্মদ মুস্তাফা বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে এবং ১৫ মাসের যুদ্ধের পর মারাত্মক মানবিক সংকট মোকাবিলায় ২০ লাখেরও বেশি মানুষের জন্য আরও ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ করতে চাপ প্রয়োগ চালিয়ে যাওয়া জরুরি।
তিনি এ সময় জোর দিয়ে বলেন, যুদ্ধের পর গাজা শাসনের অধিকার কেবল বৈধ ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব এবং ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের সরকারের হাতেই থাকা উচিত।
গাজা শাসনের বিষয়ে ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির অপেক্ষায় থাকা অবস্থায় এটিও উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে, গাজা শাসনে অন্য কোনো সত্ত্বার উপস্থিতি গ্রহণযোগ্য হবে না’।
গত বছর নরওয়ের ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অধীনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থিত দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ইসরাইল ও হামাসের অবস্থান
এদিকে ইসরাইলও গাজা শাসনের ক্ষেত্রে হামাসের কোনোরকম সংশ্লিষ্টতাকে পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছে। যদিও ১৫ মাস ধরে চলা এই যুদ্ধের আগ পর্যন্ত গাজা পরিচালনার দায়িত্বে তারাই ছিল।
যে কারণে হামাস ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের একচেটিয়া শাসনে অনাগ্রহ দেখিয়েছে। যেটি তিন দশক আগে অসলো অন্তর্বর্তী শান্তি চুক্তির অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বর্তমানে পশ্চিম তীরে সীমিত শাসন ক্ষমতা রয়েছে।
ইসরাইলি কর্মকর্তারা অভিযোগ করে বলেছেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামলায় সমর্থন দেয় এবং গাজার বাইরে হামাসের প্রতি ব্যাপক সমর্থন থাকায়, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের শাসন ক্ষমতায় যারাই থাকুক না কেন, শেষ পর্যন্ত ইসলামপন্থি এই দলের (হামাস) দ্বারাই তা দখল হবে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ মূলত সাবেক নেতা ইয়াসির আরাফাতের দ্বারা গঠিত ফাতাহ দলের অধীন। ২০০৭ সালের সংক্ষিপ্ত গৃহযুদ্ধের পর হামাস গাজা থেকে তাদের উৎখাত করেছিল। সূত্র: রয়টার্স
ঘটনাপ্রবাহ: হামাস ইসরাইল যুদ্ধ
আরও পড়ুন