দক্ষিণ কোরিয়ায় সাংবিধানিক সংকট
ইউনের সামরিক আইন জারি ‘ভুল’ ছিল: অভিশংসিত প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৯ পিএম

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের জারি করা সামরিক আইন ‘ভুল’ ছিল বলে স্বীকার করেছেন দেশটির অভিশংসিত প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু।
বুধবার পার্লামেন্টারি ব্রিফিংয়ে তিনি এ স্বীকারোক্তি দেন বলে জানিয়েছে ইয়োনহাপ নিউজ।
সংবাদমাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এদিন দক্ষিণ কোরীয় আইনপ্রণেতাদের এক কমিটির বৈঠকে ইউনের সামরিক আইন ঘোষণার বিষয়ে হান বলেন, ‘এর প্রক্রিয়াগত ত্রুটিসহ অন্যান্য ত্রুটি দেখে আমি মনে করি, (সামরিক আইন) স্বাভাবিক ছিল না’।
গত ৩ ডিসেম্বর ইউন সুক ইওল যখন সামরিক আইন জারি করেন, তখন তা দেশটির জনগণকে রীতিমত হতবাক করে দেয়। তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সংসদ সদস্যদের ভোটে তা বাতিল করা হয়।
এ বিষয়ে অভিশংসিত প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু বলেন, ‘আমি মনে করি, সামরিক আইন জারি করাটা ভুল ছিল’।
এদিকে ৬৩ বছর বয়সি প্রেসিডেন্ট ইউনকে অভিশংসনের পর, বুধবার ভোরে সিউলের প্রেসিডেন্সিয়াল রেসিডেন্সে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। তিনি বর্তমানে বরখাস্ত রয়েছেন এবং বিদ্রোহ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি।
অন্যদিকে ইউন ২০২২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ের পরপরই হান ডাক-সুকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেছিলেন।
সামরিক আইন জারি করার দায়ে গত ১৪ ডিসেম্বর তাকে অভিশংসনের পর, প্রধানমন্ত্রী হানকেই ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তবে সাংবিধানিক আদালতে বিচারকদের নিয়োগ না দেওয়ার কারণে দুই সপ্তাহের মধ্যেই দক্ষিণ কোরীয় সংসদ তাকেও অভিশংসিত করে।
সামরিক আইন ঘোষণা করার আগে ইউন অবশ্য হানের পরামর্শেই মন্ত্রিসভার বৈঠক আহ্বান করেছিলেন।
এসবের প্রেক্ষিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় চলমান সাংবিধানিক সংকট মোকাবিলায় বর্তমানে অর্থমন্ত্রী চোই স্যাং-মোক হানের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি