Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

গাজায় শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে, যা থাকতে পারে চুক্তিতে

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৩২ পিএম

গাজায় শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে, যা থাকতে পারে চুক্তিতে

ছবি: সংগৃহীত

গাজায় যুদ্ধবিরতি ও শান্তিচুক্তি নিয়ে আজ মঙ্গলবার আবারও আলোচনায় বসতে যাচ্ছে মধ্যস্থতাকারীরা। এর আগে গতকাল সোমবার মধ্যরাতে কাতারের রাজধানী দোহায় একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই আলোচনায় জো বাইডেন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প দুজনেরই প্রতিনিধি ছিলেন।

মধ্যস্থতাকারীদের দাবি, গতকালের আলোচনা অনেকটাই সফল হয়েছে।

সোমবার নিজের পররাষ্ট্র নীতির সাফল্য নিয়ে বলতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, চুক্তির ফলে বন্দিরা মুক্তি পাবেন। যুদ্ধ থামবে, ইসরাইলকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে এবং ফিলিস্তিনে মানবিক সাহায্যের পরিমাণ অনেকটাই বাড়বে।

এ সময় তিনি আরও বলেছেন, হামাস যে যুদ্ধ শুরু করেছিল, তার ফলে যারা ভয়ংকরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তারা মানবিক সাহায্য পাবেন।

বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শদাতা সোমবার সাংবাদিকদের বলেছেন, এই চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। এই চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার মুখে রয়েছে।

চুক্তিতে কী থাকতে পারে?

ইসরাইলের এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, প্রস্তাবিত চুক্তিতে বলা হয়েছে, প্রথম পর্যায়ে হামাস ৩৩জন বন্দিকে মুক্তি দেবে। তার মধ্যে শিশু, নারী, অসুস্থ ও বয়স্করা থাকবেন। কিছু নারী সেনাকে হামাস বন্দি করেছে। তাদেরও প্রথম পর্যায়ে ছাড়ার কথা থাকবে।'

তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতির ১৬তম দিনে দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হবে। সেখানে বাকি বন্দিদের ছেড়ে দেওয়া নিয়ে কথা হবে। হামাসের কাছে এখনো ৯৮জন ইসরাইলি বন্দি আছে। যেসব ইসরাইলি মারা গেছেন, তাদের দেহ ফেরত দেওয়া নিয়েও কথা হবে। 

তিনি বলেছেন, ইসরাইলের সেনা পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার করা হবে। তবে সীমান্তের মধ্যে ইসরাইলের সেনা থাকবে। তারা ইসরাইলের শহর ও গ্রামগুলোকে রক্ষার কাজের জন্য থাকবে। গাজার দক্ষিণপ্রান্তেও ইসরাইলের সেনা থাকবে। ফিলাডেলফি করিডোরেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। চুক্তি হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে ইসরাইল সেনা প্রত্যাহার শুরু করবে।

তিনি জানিয়েছেন, নিরস্ত্র মানুষদের উত্তর গাজায় ফিরতে দেওয়া হবে। তবে কোনোরকম অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যেতে দেওয়া হবে না। যেসব ফিলিস্তিনি হত্যা ও ভয়ংকর আক্রমণ করার দায়ে শাস্তিপ্রাপ্ত তাদেরও ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে আক্রমণের সঙ্গে যুক্তদের ছাড়া হবে না।

ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চলছে। বেশ কিছুদিন হলো, দুই পক্ষই বন্দিবিনিময় নিয়ে একমত হয়েছে। কিন্তু হামাসের দাবি, স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। ইসরাইলের সেনাকে গাজা থেকে চলে যেতে হবে।

আর ইসরাইল দাবি করেছে, হামাসকে ভেঙে দিতে হবে। তা না করা হলে তারা যুদ্ধ থামাবে না।

ইসরাইল ও হামাসের বক্তব্য

হামাসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা চুক্তির পক্ষে। বেশ কিছু মূল প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি সেই আলোচনা থেকে চূড়ান্ত ফল পাওয়া যেতে পারে।

ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিডিয়ন সার সাংবাদিকদের বলেছেন, আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে। এটা আগের আলোচনার ক্ষেত্রে হয়নি। আমার মনে হয়, বন্ধু যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তির জন্য প্রচুর পরিশ্রম করছে। বন্দিরা যাতে মুক্তি পায়, তারা তার চেষ্টা করছে।

এদিকে আগামী ২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার নেবেন। এটাকেই যুদ্ধবিরতি চুক্তির চরমসীমা হিসাবে দেখা হচ্ছে। ট্রাম্প ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার আগে যদি হামাস বন্দিদের মুক্তি না দেয়, তাহলে তাদের ভয়ংকর মূল্য দিতে হবে।

ব্লিংকেন জানিয়েছেন, আলোচনাকারীরা এটা নিশ্চিত করতে চেয়েছেন, ট্রাম্প এই চুক্তি মেনে নেবেন। তাই মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকর আলোচনায় ছিলেন। বাইডেনের দূত ব্রেট ম্যাকগার্কও ছিলেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম