গাজা যুদ্ধে ইসরাইলের অর্থনৈতিক ব্যয় ৬৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:২৮ পিএম
দেড় বছর ধরে গাজায় চলমান যুদ্ধে ইসরাইলের ব্যয় ৬৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ পর্যন্ত বিভিন্ন পরিসংখ্যান যাচাই করে ইসরাইলের ব্যবসায়িক সংবাদপত্র কালকালিস্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরেছে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আনাদােলু এজেন্সি।
প্রশ্ন উঠেছে ১৫ মাস ধরে হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রায় ৪৬ হাজার ফিলিস্তিনি হত্যা করে ইসরাইল কি জয়ী হতে পেরেছে, তাও বিপুল অর্থ খরচ করে!
ইসরাইলের যুদ্ধ ব্যয়ের এই প্রতিবেদনে সামরিক অপারেশন, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ইসরাইল সরকারের কাছে এই পরিমাণ অর্থের চাপ দিনের পর দিন বাড়ছে। যুদ্ধের কারণে ইসরাইলের নিজের অর্থনীতিও ক্ষতির মুখে পড়েছে। অনেক কারখানার উৎপাদন ও ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে, কারণ, নতুন বিনিয়োগ পাওয়া যাচ্ছে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদী এই সংঘর্ষের ফলে ইসরাইলি অর্থনীতির ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে এবং এর পুনরুদ্ধারে সময় লাগবে।
ইসরাইলি সরকারের পক্ষ থেকে সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি এবং গাজার পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য অতিরিক্ত বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া, সামরিক অবকাঠামো এবং অস্ত্রের আমদানিতেও ব্যাপক খরচ হচ্ছে। এই খরচের চাপ দেশের অন্যান্য খাতেও প্রভাব ফেলছে, যেমন পর্যটন, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং অবকাঠামো উন্নয়ন।
এছাড়া, যুদ্ধের মানবিক প্রভাব অত্যন্ত গভীর। গাজার মানুষের পরিস্থিতি অত্যন্ত বেদনাদায়ক, যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ ত্রাণ সহায়তার জন্য অপেক্ষা করছে, বহু পরিবার ঘরছাড়া হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, গাজার মানবিক সংকট আরও ঘনীভূত হতে পারে এবং এর ফলে আরও অনেক জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। যুদ্ধের ফলে এই অঞ্চলে বিপুল সংখ্যক মানুষ হতাহত হয়েছে, এবং এটি দীর্ঘমেয়াদে অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
ইসরাইলি সরকারের জন্য ভবিষ্যতে এই যুদ্ধের খরচ কিভাবে সামাল দেয়া যাবে, তা বড় একটি প্রশ্ন। কিছু বিশেষজ্ঞ ধারণা করছেন, যদি যুদ্ধের পরিস্থিতি আরও দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে দেশের অর্থনৈতিক ভারসাম্য হুমকির মুখে পড়তে পারে।
একদিকে যেখানে ইসরাইল সামরিক ব্যয়ের চাপ মোকাবেলা করছে, অন্যদিকে গাজার জনগণের মানবিক সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক সাহায্যের প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে।