
প্রিন্ট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৩ পিএম
ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:০৩ পিএম

মুটে এগেদে। ছবি: সংগৃহীত
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মুটে এগেদে। তবে তিনি জোর দিয়ে এও বলেছেন, গ্রিনল্যান্ডের স্বাধীনতা ও স্বশাসনের প্রতি সবাইকে সম্মান দেখাতে হবে। খবর রয়টার্সের।
আগামী ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন ট্রাম্প। এর আগে তিনি গ্রিনল্যান্ডের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ ‘অপরিহার্য’ বলে মন্তব্য করেছেন। সামরিক বা অর্থনৈতিক উপায়ে, এমনকি ডেনমার্কের ওপর শুল্ক আরোপের মাধ্যমেও এই নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি ট্রাম্প
কোপেনহেগেনে এক সংবাদ সম্মেলনে, ট্রাম্পের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এগেদে বলেন, ‘না, তবে আমরা আলোচনায় প্রস্তুত।’
ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন বৃহস্পতিবার একই সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন। তিনি জানিয়েছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে একটি বৈঠকের অনুরোধ করা হয়েছে। তবে সেটি তার শপথ গ্রহণের আগে হওয়ার সম্ভাবনা কম।
প্রধানমন্ত্রী এগেদে গ্রিনল্যান্ডের স্বপ্নের কথা তুলে ধরে বলেন, আমাদের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা রয়েছে, আমরা নিজেদের ঘরের কর্তা হতে চাই ... এটি সবার সম্মান করা উচিত।
তবে তিনি আরও বলেন, এর অর্থ এই নয় যে আমরা ডেনমার্কের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করব।
সম্প্রতি গ্রিনল্যান্ডে স্বাধীনতা আন্দোলন জোরদার হয়েছে। এগেদে তার নববর্ষের ভাষণে এ বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেছেন।
গ্রিনল্যান্ডে প্রায় ৫৭ হাজার মানুষ বাস করে। ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত ডেনমার্কের একটি উপনিবেশ ছিল। বর্তমানে এটি একটি স্বায়ত্তশাসিত ডেনিশ অঞ্চল। ২০০৯ সালে একটি গণভোটের মাধ্যমে স্বাধীনতার দাবি করার অধিকার লাভ করে। উত্তর গ্রিনল্যান্ডে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে, যা অঞ্চলটির কৌশলগত গুরুত্ব বৃদ্ধি করে।