গ্রীনল্যান্ড নিয়ে ট্রাম্পের বক্তব্যে সতর্ক রাশিয়া
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৫৬ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ডেনমার্কের কাছ থেকে গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নিতে সামরিক বা অর্থনৈতিক পদক্ষেপের বিষয় নাকচ করতে অস্বীকার করেছেন। এরপর রাশিয়া বলেছে, তারা পরিস্থিতি মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করছে।
ভয়েস অফ আমেরিকার এক খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ পরিস্থিতি এখনো বিবৃতির স্তরে থাকায় স্রষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘গ্রীনল্যান্ডের পরিস্থিতির নাটকীয় উঠানামা আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।’
তিনি বলেন, আর্কটিক জোনটি রাশিয়ার জাতীয় এবং কৌশলগত স্বার্থের একটি অঞ্চল। আর্কটিক অঞ্চলে আমরা উপস্থিত আছি এবং আমরা সেখানেই থাকব’।
গ্রিনল্যান্ডের বিস্তীর্ণ ভূখণ্ডের বেশিরভাগই আর্কটিক বলয়ে অবস্থিত। যা ১৯৫৩ সাল থেকে ডেনমার্ক রাজত্বের অংশ; তবে দ্বীপটির নিজস্ব স্বায়ত্বশাসিত সরকার রয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেছেন, গ্রিনল্যান্ডের উপর ডেনমার্কের কোনো বৈধ অধিকার রয়েছে কিনা মানুষ জানে না। যদি থেকে থাকে তা ছেড়ে দেওয়া উচিত। কারণ জাতীয় নিরাপত্তার জন্য আমাদের এটা দরকার। আমি মুক্ত বিশ্বকে রক্ষা করার বিষয়ে কথা বলছি।
তিনি বলেন, ‘জায়গায় চীন এবং রুশ জাহাজ রয়েছে। আমরা এটা হতে দিব না’।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক পরিষদের (কাউন্সিল অফ ফরেন রিলেশন্স) বিশ্লেষক লিয়ানা ফিক্স বলেছেন, আর্কটিকের অধিকাংশ অঞ্চলের মতো গ্রিনল্যান্ড দ্রুত উষ্ণ হয়ে উঠছে। এটাই এই অঞ্চলের ভূ-রাজনীতিকে বদলে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, আর্কটিক এক বৃহৎ শক্তির প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। এবং যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন যে, তারা এই খেলায় হেরে যাচ্ছে।
ফিক্স আরও বলেন, পণ্যের ব্যবসা ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ উভয়ের জন্য আর্কটিক অনেক বেশি ব্যবহারযোগ্য ও সহজলভ্য হয়ে উঠছে। এটি ক্রমবর্ধমান হারে সামরিক অঞ্চলেও পরিণত হচ্ছে। রাশিয়া এই অঞ্চলে চীনা উপকূলরক্ষীদের সঙ্গে সহযোগিতা করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।
ডেনমার্ক বলছে, গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয়। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, ট্রাম্পের বক্তব্য তাদের জন্য বৈদেশিক নীতিগত সংকট তৈরি করবে।
ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাসমুসেন বুধবার বলেছেন, ‘আমি দেখছি, হোয়াইট হাউসের পথে রয়েছেন, এমন একজন প্রেসিডেন্টের আর্কটিকের উপর তীব্র দৃষ্টি রয়েছে এবং আমি বুঝতে পারি যে, তার সেটা রয়েছে। ডেনিশদের পক্ষ থেকেও (এই নজর) রয়েছে এবং ন্যাটোর মধ্যেও রয়েছে’।