পুতিন এক ট্রিলিয়নের বেশি ডলার চুরি করেছেন, দাবি ‘এক নম্বর সমালোচকের’
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:১০ পিএম
ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: সংগৃহীত
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার দেশ থেকে এক ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি চুরি করেছেন বলে দাবি করেছেন তার কট্টর সমালোচক উইলিয়াম ব্রাউডার। তিনি পুতিনের ‘এক নম্বর শত্রু ’ হিসেবে বেশ পরিচিত।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলে প্রকাশিত একটি উপ-সম্পাদকীয় নিবন্ধে উইলিয়াম ব্রাউডার লিখেছেন কীভাবে পুতিন একজন ‘দুর্বল রাজনীতিক’ থেকে ‘দানবীয় স্বৈরশাসকে’ পরিণত হয়েছেন। তার মতে, ১৯৯৯ সালে যখন পুতিনকে বরিস ইয়েলৎসিনের উত্তরসূরি হিসেবে মনোনীত করা হয়েছিল, তখন তিনি রাশিয়ার রাজনীতির বাইরে এবং এমনকি অভ্যন্তরীণ বিষয় সম্পর্কেও কার্যত অজানা ছিলেন, তখন তার গ্রহণযোগ্যতার হারও কম ছিল।
জনসাধারণ এবং অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণকারী অভিজাতরা তাকে ‘রাজনৈতিক দুর্বলতা’ হিসেবে বিবেচনা করত। তবে এখন কেউ তাকে দুর্বলতা হিসেবে বিবেচনা করে না বলে মনে করেন ব্রাউডার।
লন্ডনভিত্তিক একটি বিনিয়োগ সংস্থা হার্মিটেজ ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইওব্রাউডার ২০০৫ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার বৃহত্তম বিনিয়োগকারীদের একজন ছিলেন। সেসময় তাকে দেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এরপর থেকেই তিনি একজন সোচ্চার ক্রেমলিন সমালোচক হয়ে ওঠেন এবং ‘পুতিনের এক নম্বর শত্রু ’র তকমা পান।
সম্প্রতি ডেইলি মেইলে এক উপ-সম্পাদকীয়তে ব্রাউডার লেখেন, পুতিন একটি অন্তহীন যুদ্ধ চালিয়ে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে আছেন। তিনি পুতিনকে ‘অশুভের মূর্ত প্রতীক, একজন দানবীয় স্বৈরশাসক যিনি পারমাণবিক হত্যাকাণ্ডের হুমকি দিচ্ছেন যা ইউরোপকে ধ্বংস করে দিতে পারে’ বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি আরও দাবি করেছেন, ক্রেমলিন নেতা এবং তার সহযোগীরা রুশদের কাছ থেকে এক ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি চুরি করেছেন।
ব্রাউডারের মতে, শুধুমাত্র ইউক্রেনে তথাকথিত ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’- এ প্রায় ৮ লাখ রুশ হতাহত হয়েছেন। ব্যক্তিগত লাভের জন্য তিনি (পুতিন) রাশিয়ার উপর যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছেন তা অগণিত। তিনি যে সম্পদ লুণ্ঠন করেছেন তাও অগণিত।
ক্রেমলিন সমালোচকের মতে, রুশরা যাতে তার বিরুদ্ধে না যায়, সেজন্য পুতিনকে দেশটিকে স্থায়ী অবরোধ এবং ভীতিকর পরিস্থিতিতে রাখতে হবে। যদি তাকে উৎখাত করা হয়, তাহলে ৭২ বছর বয়সি এই ব্যক্তির জন্য পৃথিবীর কোনো স্থানে আশ্রয় নেওয়া নিরাপদ হবে না। তাকে রাশিয়ায় ফেরত পাঠানো হবে এবং কারাগারে পাঠানো হবে। আর বিচারের পর নিশ্চিভাবেই তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে।