দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্টের পরোয়ানা বাতিলের আবেদন খারিজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৪ পিএম

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার বিরুদ্ধে করা আপত্তি খারিজ করে দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।
রোববার সিওলের একটি স্থানীয় আদালত এ রায় দেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউনের আইনজীবী তার বিরুদ্ধে দেওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা স্থগিতের ওপর আপত্তি জানিয়ে একটি আবেদন করেছিল। তবে আদালত সেই আপত্তি নাকচ করে দিয়েছে।
আপিল করার কথা বিবেচনা
ইউনের আইনজীবী ইউন গাপ-গিউন এ বিষয়ে জানিয়েছেন, তারা স্থানীয় আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে দেশের শীর্ষ আদালতে আপিল করার কথা ভাবছেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আবেদন খারিজ হওয়া মানে এই নয় যে, গ্রেফতারি পরোয়ানাটি আইনত বৈধ। আমরা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করার বিষয়টি বিবেচনা করব।
ঘটনাপ্রবাহ
এর আগে ইউনের আইনজীবী দল দুর্নীতি তদন্ত অফিস ফর হাই র্যাঙ্কিং অফিসিয়ালস (CIO) এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল। যারা ইউনের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করার চেষ্টা করেছিল।
শুক্রবার দক্ষিণ কোরীয় দুর্নীতি তদন্ত অফিস অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউনকে আটক করার চেষ্টা করলেও তার নিরাপত্তা বাহিনী তাদেরকে বাধা দেয়।
গত সপ্তাহে জারি করা এই গ্রেফতারি পরোয়ানা সোমবার (৬ জানুয়ারি) পর্যন্ত বৈধ থাকবে বলে জানা গেছে।
অভিশংসন এবং আদালতের রায়ের অপেক্ষা
৬৩ বছর বয়সি ইউন সুক-ইওল গত ৩ ডিসেম্বর দেশটিতে সামরিক আইন জারি করেন। তবে তুমুল সমালোচনা ও ক্ষোভের মুখে কিছু সময়ের মধ্যেই তা তুলে নিতে বাধ্য হন। তিনি এখন পর্যন্ত সামরিক আইন জারির এই ব্যর্থ প্রচেষ্টার বিষয়ে তদন্তকারীদের প্রশ্ন এড়িয়ে চলেছেন।
এ নিয়ে ইউনকে গত ১৪ ডিসেম্বর অভিশংসিত করা হয় এবং এখন তিনি সাংবিধানিক আদালতের রায়ের অপেক্ষায় রয়েছেন। এই রায়-ই তাকে স্থায়ীভাবে পদ থেকে অপসারণ করবে অথবা পুনর্বহাল করবে। তবে এই রায় দিতে আদালতের ছয় মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
ইউন দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে প্রথম চলমান প্রেসিডেন্ট, যিনি কিনা রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন এবং তার ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এছাড়াও এই প্রথমবারের মতো দক্ষিণ কোরিয়ায় একজন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি