কাসেম সোলাইমানির ৫ম মৃত্যুবার্ষিকীতে ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শ্রদ্ধা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:২০ পিএম
প্রয়াত ইরানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে একজন ‘মহান বীর’ হিসেবে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকায়ি।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) ছিল সােলেইমানির ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী। পৃথিবীর ‘এক নম্বর’ জেনারেল হিসেবে বিবেচিত সোলাইমানির নাম ছিলো বিশ্বের সবচেয়ে দক্ষ গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ও মোসাদের হিট লিস্টের ‘এক নম্বরে’। ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে মার্কিন বাহিনী দ্বারা হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তিনি।
ইরানি মুখপাত্র বলেন, জেনারেল কাসেম সোলেইমানি তার কাজের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের হৃদয় জয় করেছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে তাসনিম নিউজ এজেন্সি।
বাকায়ি এক্স অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে জানান, সমসাময়িক বিশ্বে যুদ্ধাস্ত্র এবং বোমার উপর জেনারেল সোলেইমানি হৃদয়ের সেনাপতি হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
কাশেম সোলাইমানি মূলত সিরিয়া ও ইরাক যুদ্ধে তার বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য দেশ-বিদেশে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। সেসময় তিনি ‘সারুল্লাহ’ গ্রুপের নেতৃত্ব দেন। ওই যুদ্ধে তার অবদানের প্রশংসা করেছিলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ।
ইরানি মুখপাত্র বলেন, বীর কমান্ডাররা অঞ্চল জয়ের জন্য পরিচিত নয়, কিন্তু মানুষের হৃদয় জয় করার জন্য তাদের অর্জন চিরকাল স্থায়ী হবে।
তেহরানের আঞ্চলিক শত্রু সৌদি আরব ও ইসরাইলের মাথাব্যথার কারণ ছিলেন কাশেম সোলাইমানি। ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় তার বীরত্বপূর্ণ অবদান সবার নজরে আসে। গত ২০ বছরে বহুবার যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল ও আরবের বিভিন্ন সংগঠন তাকে হত্যার চেষ্টা চালায়। তবে, প্রতিবারই তিনি প্রাণে বেঁচে যান। তবে শেষ পর্যন্ত ২০২০ সালে মার্কিন কৌশলের কাছে পরাস্ত হন তিনি।
২০১১ সালে গৃহযুদ্ধের কারণে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বারবার পরাজয়ের মুখে পড়লে, তার সমর্থনে এবং ইরানের বাইরে অভিযানের দায়িত্ব নেয় কাশেম সোলাইমানির কুদস বাহিনী। দায়িত্ব নিয়েই তিনি সফলভাবে বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠন ও ইরাকের ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) পরাজিত করেন।
ইরানি মুখপাত্র প্রয়াত কমান্ডারকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মহান নায়ক হিসেবেও অভিনন্দন জানান।