খোঁজ চলল টানা ২০ ঘণ্টা। যুক্তরাজ্যের লেক ডিস্ট্রিক পর্বতশৃঙ্গের এই অংশ থেকে ওই অংশ চষে বেড়াল সাতটি মাউন্টেইন টিমস। উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছিল দুটি কোস্ট গার্ড টিম। আকাশে এক নাগাড়ে উড়ছিল রেসকিউ হেলকপ্টার। বৈরি পরিবেশে দুদিনের উদ্ধার কাজ যখন শ্লথ, তখনই দেখা মেলে হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তির কালো ল্যাব্রাডার কুকুর। তার পাশেই গভীর খাদে পাওয়া যায় কুকুরের মালিকের মৃতদেহ।

মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাজ্যের হ্যাভেলিয়েন পর্বতে। ছুটির দিন উপভোগ করতে ওই ব্যক্তি তার কুকুর নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। পথিমধ্যে ৬০০ ফিট উঁচু পর্বত থেকে গড়িয়ে পড়েন। মালিক পড়ে যাওয়ার পর কুকুরটি সেখান থেকে কোথাও যায়নি। পরে উদ্ধার কর্মীরা কুকুর ও মৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে। খবর টেলিগ্রাফের।

উদ্ধার কাজের শুরু হয় নাম প্রকাশ না করা ওই ব্যক্তির স্ত্রী থানায় অভিযোগ করলে। পুলিশকে তার স্ত্রী জানান, কয়েক ঘণ্টা হয়ে গেলেও স্বামী বাসায় ফেরেননি। এমনকি তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া গেছে। তারপরেই শুরু হয় ২২ ঘণ্টার উদ্ধার কার্যক্রম।

স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, গ্রাসমেরের ওই বাসিন্দা ছুটি কাটাতে কুকুরের সঙ্গে সাইকেল নিয়ে বেরিয়েছিলেন। প্রথম দিন রাত একটা পর্যন্ত অনুসন্ধান করার পর যখন তাকে পাওয়া যায়নি, তখন বৈরি পরিবেশের কথা চিন্তা করে উদ্ধার কাজ থামানো হয়। দ্বিতীয় দিনে মোবাইল ফোনটি সবশেষ যেখানে সচল ছিল সেই অংশ চিহ্নিত করা হয়। দড়ির সাহায্যে উদ্ধারকর্মীরা তখন পর্বতের ওই অংশে ওঠে। তখনই পাওয়া যায় কালো ল্যাব্রাডার কুকুরটিকে। তাৎক্ষণিক কিছু কর্মী নিচে নেমে দেখেন পাহাড়ের পূর্ব দিকে পড়ে আছে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ।

বৈরি আবহাওয়ায় এই উদ্ধার কাজ শেষ করতে পুরো ২০ ঘণ্টা খেটেছে ৬৮ জন রেসকিউ কর্মী। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির মৃত্যু পাহাড় থেকে পিছলে গিয়ে হতে পারে। তাদের মতে, এটা স্রেফ একটি দুর্ঘটনা। ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পেছনে কোনো ব্যক্তির হাত নেই।