২০২৫ সালে আরও সক্রিয়তা বাড়াতে যে অঙ্গীকার করল চীন
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:০৪ এএম
চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি ত্বরান্বিত করতে ২০২৫ সালে আরও সক্রিয় পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) নতুন বছরের আগমনে দেওয়া ভাষণে দেশটির জিডিপি বিদায়ী বছরে অন্তত ১৭ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলেও আশাবাদ প্রকাশ করেছেন তিনি। খবর রয়টার্সের।
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ওই ভাষণে শি জিনপিং বলেন, বিগত বছরে উন্নয়নের উচ্চমান ধরে রাখতে দেশে ও বিদেশের পরিবর্তিত অবস্থার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সর্বাত্মক নীতিমালা প্রণয়ন করেছে চীন।
দীর্ঘদিন ধরে নির্মাণ ব্যবসায় মন্দা, স্থানীয় সরকারের ক্রমবর্ধমান ঋণ ও ভোক্তাদের আস্থার অভাবে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটি অর্থনৈতিকভাবে যথেষ্ট চাপের মধ্যে আছে। চলতি বছর সেই অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠতে যথেষ্ট কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে তাদের। এরমধ্যে মড়ার ওপর খাড়ার ঘাঁ হিসেবে যুক্ত হয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার কারণে উচ্চ রফতানি শুল্কের আশঙ্কা।
তিনি বলেন, চলমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় নতুন কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সীমানার বাইরে পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে সৃষ্ট অনিশ্চয়তা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে পুরোনো থেকে নতুন চালিকাশক্তিতে রূপান্তরের চাপ।
তবে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সব বাঁধা উতরে যাওয়া সম্ভব বলে আশা প্রকাশ করে তিনি
আরও বলেন, প্রতিবারের মতো আমরা ঝড়বৃষ্টিতে বেড়ে উঠব, কঠিন সময়ের মধ্যে আমরা শক্তিশালী হয়ে উঠব। নিজেদের সক্ষমতার ওপর আমাদের বিশ্বাস রাখতে হবে।
অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও নির্মাণ ব্যবসা চাঙা করে তুলতে গত সেপ্টেম্বর থেকে ঋণের সুদের হার হ্রাস ও বাড়ি ক্রয়ে বিধিনিষেধ কমানোসহ একাধিক ত্বরিত পদক্ষেপ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিদায়ী বছরের শেষ মাসে শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতা ২০২৫ সালে তুলনামূলক সহজ মুদ্রানীতি প্রণয়নের আহ্বান জানান। এটি বাস্তবায়িত হলে, বিগত ১৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম বিধিনিষেধ মূলক নীতিমালা সামনের বছর আসতে যাচ্ছে। পাশাপাশি, ২০২৫ সালে ভোক্তা ব্যয় ও বন্ড ইস্যু বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকারও করেছেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, ২০২৫ সালে ৪১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের ট্রেজারি বন্ড ইস্যু করতে সম্মত হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।