Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

অভিশংসিত হলেন দ. কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৫ পিএম

অভিশংসিত হলেন দ. কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট

ছবি: সংগৃহীত

সংসদে আইনপ্রণেতাদের ভোটে দুই সপ্তাহ আগে অভিশংসিত হয়েছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইত্তল। তার জায়গায় ভারপ্রান্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ডাক-সুও। তবে সামরিক আইন জারির পর সৃষ্ট অচলাবস্থা কাটাতে পারেননি তিনি। যে কারণে শেষমেশ তাকেও অভিশংসিত হতে হয়েছে। 

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ডাক-সুওর অভিশংসিত হওয়ার তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

এর আগে ২০২২ সালের মে মাস থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করছিলেন হান ডাক-সু। তবে সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের অভিশংসনের পর দায়িত্ব নেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত টিকতে পারেননি তিনি। যা দেশটির চলমান সংবিধানিক সংকট আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

বিবিসি বলছে, দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্ট প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেওয়ার দুই সপ্তাহ পরে দেশটি এবার তার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সুকে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছে। যেখানে ১৯২ জন আইনপ্রণেতা তার অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেন। যেখানে অভিশংসনে সফল হতে প্রয়োজন ছিল ১৫১টির বেশি ভোট।

এর আগে, চলতি মাসের ৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারি করার ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর দক্ষিণ কোরিয়ার সংসদে প্রেসিডেন্ট ইউনকে অভিশংসিত করার পর প্রধানমন্ত্রী হান ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। তবে অস্থিরতা দূর করতে পারেননি তিনি। যে কারণে তাকে অভিশংসিত করতে ফের ভোটাভুটির আয়োজন করা হয়। আর সেই ভোটেই অভিশংসিত হতে হয়েছে তাকে।

পার্লামেন্টে হানের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব উত্থাপন করে বিরোধীরা। সেখানে তারা বলেন, হান ‘ইচ্ছাকৃতভাবে বিদ্রোহের সাথে জড়িতদের শনাক্ত করতে বিশেষ তদন্ত এড়িয়ে যাচ্ছেন এবং সাংবিধানিক আদালতের তিনজন বিচারকের নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করার ক্ষেত্রে তার উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেছেন। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এই ধরনের কাজ একজন সরকারি কর্মকর্তার আইন সমুন্নত রাখা এবং জনগণের সেবা করার দায়িত্বের লঙ্ঘন।’

হান তার পদ থেকে অপসারিত হলে তার জায়গায় অর্থমন্ত্রী চোই সাং-মোক ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে দেখা যেতে পারে।

উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান বিরোধের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে সাংবিধানিক আদালতের গঠন, যা ইউনকে অভিশংসনের সংসদীয় সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে কি না তা নির্ধারণ করবে। সাংবিধানিক আদালতে বর্তমানে তিনজন বিচারকের অভাব রয়েছে। আদালত বেঞ্চের ছয় সদস্য নিয়েই এগিয়ে যেতে পরবে। তবে এক্ষেত্রে একটি মাত্র ভোট বিপক্ষে পড়লেই তা ইউনকে পুনর্বহালের জন্য যথেষ্ট হবে।

বিরোধীরা চায় হান নয় সদস্যের বেঞ্চ পূরণের জন্য আরও তিনজন মনোনীত ব্যক্তিকে অনুমোদন দিন। কিন্তু তিনি এখনও এটি করতে অস্বীকার করে চলেছেন। মূলত এই বিষয়টি নিয়ে দেশটিতে অচলাবস্থা চলছে।

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম