সংলাপে বসতে সরকারকে সময়সীমা বেঁধে দিচ্ছে পিটিআই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২১ পিএম

সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা কাটাতে পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন সরকার এবং পিটিআইয়ের মধ্যে সম্ভাব্য আলোচনার কথা শোনা যাচ্ছে অনেক দিন ধরে। তবে এ নিয়ে নির্দিষ্ট দিন-তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি।
এদিকে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে অনির্দিষ্টকালের জন্য উন্মুক্ত থাকতে চায় না পিটিআই। সম্ভাব্য আলোচনার জন্য তারা নির্ধারিত সময়সীমা বেঁধে দিতে চায়। সে হিসাবে পরের বছরের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে আলোচনা শেষ করতে চায় ইমরানের খানের দল।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
বৃহস্পতিবার এ নিয়ে ইত্তেহাদ কাউন্সিলের (এসআইসি) চেয়ারম্যান সাহেবজাদা হামিদ রাজা বলেন, রাজনৈতিক উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে সংলাপ শেষ করতে পিটিআই সরকারকে জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত সময় দিচ্ছে। আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারী কমিটিকে ২ জানুয়ারি আমাদের বৈঠকে এই সময়সীমা সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করবে।
ওমর আইয়ুব এবং আসাদ কায়সারের সাথে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের সাথে সাক্ষাতের পর পিটিআইয়ের আলোচনা দলের মুখপাত্র হামিদ রাজা এ মন্তব্য করেন।
রাজার মতে, ইমরান কর্তৃপক্ষের দ্বারা সংঘটিত সমস্ত নৃশংসতা ক্ষমা করতে প্রস্তুত। তবে প্রবাসী পাকিস্তানিদের দেশে রেমিট্যান্স না পাঠানোর আহ্বান তিনি প্রত্যাহার করেননি।
ইমরান খানের মুক্তির জন্য গত কয়েক মাসজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ, রাজনৈতিক সহিংসতা দেখেছে পাকিস্তান। রাজনৈতিক অস্থিরতায় ধুঁকছে পাকিস্তানের অর্থনীতি। চলমান বিরোধ কাটাতে পিটিআই এবং সরকারের মধ্যে সংলাপ শুরুর আভাস কিছুটা হলেও স্বস্তি দিতে পারে দেশটির জনগণকে।
৯ মে এবং ২৬ নভেম্বর সংঘটিত সহিংস ঘটনাগুলোর তদন্ত এবং পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানসহ সমস্ত রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির জন্য বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের জন্য দলের দাবির পুনরাবৃত্তি করেন রাজা।
এছাড়া জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার জন্য সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র বিচারপতিদের নেতৃত্বে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ৯ মে এর ঘটনার দায় স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।
তিনি অভিযোগ করেন, ২৬ নভেম্বর কর্তৃপক্ষ ইসলামাবাদে প্রতিবাদ মিছিল করার সময় পিটিআই সমর্থকদের উপর লাইভ রাউন্ড গুলি চালায় পুলিশ। যার ফলে ১৩ জন মারা যায়, ৬৪ জন বন্দুকের গুলিতে আহত হয় এবং ১৫-২০০ জন নিখোঁজ হয়।
হামিদ রাজা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগের নির্দেশ দেওয়ার জন্য সরকারী কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন।