পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর অভিযানে ১৩ জন খারিজি নিহত

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩২ পিএম

পাকিস্তানের দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে সেনাবাহিনীর অভিযানে ১৩ জন খারিজি নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে প্রদেশটির সড়রোগা এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
বুধবার দেশটির সেনাবাহিনীর জনসংযোগ দপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
পাকিস্তান আইএসপিআর জানায়, খারিজিদের উপস্থিতির তথ্যের ভিত্তিতে সড়রোগা এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অভিযানের সময় আমাদের সেনারা খারিজিদের অবস্থান সঠিকভাবে চিহ্নিত করে আক্রমণ চালায়। এর ফলে ১৩ জন খারিজি নিহত হয়েছে’।
নিহত খারিজিরা নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে এবং নিরীহ নাগরিকদের হত্যায় সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
আইএসপিআর জানায়, এ অঞ্চলে থাকা অন্যান্য খারিজিদের নির্মূল করতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর অভিযান চলছে। নিরাপত্তা বাহিনী দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
সম্প্রতি আফগান সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখোয়া (কেপি) ও বেলুচিস্তান প্রদেশে সন্ত্রাসী হামলার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষত, নিরাপত্তা বাহিনী ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোই হামলার প্রধান লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে।
গত ২১ ডিসেম্বর দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের মাকিন এলাকায় সন্ত্রাসীরা একটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার চেষ্টা করে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী সফলভাবে সেই হামলা প্রতিহত করে। তবে এতে ১৬ জন সেনা সদস্য প্রাণ হারান।
আইএসপিআর জানায়, হামলাটি প্রতিরোধের সময় ৮ জন খারিজি নিহত হয়।
তার আগের দিন ২০ ডিসেম্বর খাইবার পাখতুনখোয়া জেলার পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা প্রতিহত করার সময় আরও চারজন খারিজি নিহত হয় এবং একজন সেনা শহিদ হন।
ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসী কার্যকলাপ
আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের প্রত্যাবর্তনের পর থেকে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষত, কেপি ও বেলুচিস্তান সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও প্রতিরোধ অভিযান থেকে মৃত্যুর হার ৯০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (সিআরএসএস)।
এই সময়ে ৭২২ জন নিহত হন। যাদের মধ্যে সাধারণ নাগরিক, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং খারিজি অন্তর্ভুক্ত ছিল। এছাড়া ৬১৫ জন আহত হন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোর তুলনায় পাকিস্তানে ২০২৪ সালেই সন্ত্রাসী সহিংসতার পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালের পুরো বছরের তুলনায় ২০২৪ সালের প্রথম তিন প্রান্তিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে। ২০২৩ সালে নিহতের সংখ্যা ছিল ১৫২৩, সেখানে ২০২৪ সালের ৯ মাসে নিহত হয় ১৫৩৪ জন। সূত্র: জিও নিউজ