মিশরের ক্রমবর্ধমান সামরিক শক্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় ইসরাইল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৬ পিএম
কায়রোতে নিযুক্ত ইসরাইলের সাবেক রাষ্ট্রদূত ডেভিড গভরিন মিশরকে শান্তি চুক্তি লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করেছেন। একইসঙ্গে মিশরের ক্রমবর্ধমান সামরিক শক্তি সম্পর্কে তেল আবিবকে সতর্ক করেছেন তিনি।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম ইয়েদিওথ আহরোনোথের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে সামা।
একটি সাক্ষাত্কারে গভরিন দাবি করেছেন, মিশর সামরিক বর্ধনে উল্লেখযোগ্য অর্থ বিনিয়োগ করছে এবং এই সামরিক সংযুক্তি শান্তি চুক্তির লঙ্ঘন।
গভরিন ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মিশরে ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত হিসাবে কাজ করেছিলেন এবং নভেম্বর ২০২১ পর্যন্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অবসর নেওয়ার আগে মরক্কোতে ইসরাইলের প্রথম রাষ্ট্রদূত ছিলেন।
গভরিন অভিযোগ করে বলেছেন, এতে কোন সন্দেহ নেই যে মিশর শান্তি চুক্তির সামরিক সংযোজন লঙ্ঘন করছে। সিনাইয়ে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার সাম্প্রতিক অনুরোধের বরাত দিয়ে চুক্তির অধীনে এবং ইসরাইল যা অনুমোদন করেছিল তার বাইরেও এটি সিনাইয়ে অধিক সংখ্যক সামরিক বাহিনী মোতায়েন করেছে।
তিনি আরও সতর্ক করে বলেছেন, মিশর তার দুর্বল অর্থনীতি এবং বাহ্যিক হুমকির অনুপস্থিতি সত্ত্বেও সামরিক সক্ষমতায় প্রচুর বিনিয়োগ করছে।
তিনি বলেন, সুয়েজ খালের পূর্বে সামরিক ও বেসামরিক অবকাঠামোতে যথেষ্ট বিনিয়োগ রয়েছে মিশরের। ইসরাইলকে অবশ্যই মিশরের সামরিক সক্ষমতা বিবেচনায় নিতে হবে এবং ভাল উদ্দেশ্য বা ভাগ করা স্বার্থের উপর নির্ভর করতে হবে না। এগুলো দ্রুত পরিবর্তন হতে পারে।
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি স্থাপনে ১৯৭৯ সালের ২৬ মার্চ ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি করে মিসর ও ইসরাইল। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় ওয়াশিংটনে সই হয় শান্তি চুক্তিটি। হাত মেলান মিসর ও ইসরাইলের নেতারা।
হোসনি মোবারক যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বলতে চাইতেন যে তার সরকারের পতন মানে মুসলিম ব্রাদারহুড ক্ষমতায় আসা।
এখন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি বলতে চাইছেন, তার সরকার ক্ষমতা থেকে যাওয়া মানে গণতান্ত্রিক শক্তি ক্ষমতায় আসা। আর সেই শক্তি ইসরাইলের প্রতি বৈরী হবে। তাই আদৌ মিশর সামরিক বাড়াচ্ছে কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যায়। কারণ, সামরিক শক্তি বাড়ালে ইসরাইল এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিরাগভাজনে পরিণত হতে পারেন তিনি।