গাজায় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মলিন ক্রিসমাস, যুদ্ধ অবসানের প্রার্থনা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩২ এএম
ঝলমলে আলো, উৎসবের সাজসজ্জা এবং বিশাল ক্রিসমাস ট্রি যা কয়েক দশক ধরে গাজা শহর আলোকিত করেছিল। এবার ইসরাইলের নিষ্ঠুর আগ্রাসনে গাজার দৃশ্যপট বদলে গেছে। বদলে গেছে এখানকার উৎসব। ক্রিসমাসের ক্ষেত্রেও তাই।
ইসরাইলের এক ব্ছর ব্যাপী নিরলস বিমান হামলায় ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের বেশিরভাগ ধ্বংস। এরমধ্যে ক্রিসমাস উদযাপনে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত গাজা শহরের শত শত খ্রিস্টান মঙ্গলবার একটি গির্জায় জড়ো হয়ে যুদ্ধের অবসানের জন্য প্রার্থনা করেছেন।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আরব নিউজ।
এমনকি মঙ্গলবার গাজায় ইসরাইলের হামলা অব্যাহত ছিল। জর্জ আল-সায়েগ, যিনি কয়েক সপ্তাহ সেন্ট পোরফিরিয়াসের ১২ শতকের গ্রীক অর্থোডক্স চার্চে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
তিনি বলেছেন, এই ক্রিসমাস মৃত্যু এবং ধ্বংসের দুর্গন্ধ বহন করে। কোন আনন্দ নেই, উৎসবের চেতনা নেই। পরের ছুটি পর্যন্ত কে বাঁচবে তাও আমরা জানি না।
গত বছরের অক্টোবরে ইসরাইলি বিমান হামলায় গির্জা ধ্বংস হয়, যেখানে ১৭ ফিলিস্তিনি খ্রিস্টান নিহত হয়েছিল।
গাজায় প্রায় ১১০০ খ্রিস্টান বাস করে, এ সম্প্রদায় যারা গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে যুদ্ধের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
ভূখণ্ডের নাগরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা অনুসারে ইসরাইলের সাম্প্রতিক বিমান হামলা, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি শিশু নিহত হয়েছে। এসব হামলার বিরুদ্ধে পোপ ফ্রান্সিস কঠোর সমালোচনা করেছেন।
রোববার সাপ্তাহিক অ্যাঞ্জেলাস প্রার্থনার পর পোপ বলেছেন, বেদনার সাথে আমি গাজার কথা, এত নিষ্ঠুরতার কথা, শিশুদের মেশিনগানের শিকার হওয়ার কথা, স্কুল ও হাসপাতালে বোমা হামলার কথা ভাবি। কী নিষ্ঠুরতা।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সার পোন্টিফের মন্তব্যের নিন্দা জানিয়ে বলেছিলেন, পোপ দ্বৈত মান দেখিয়েছে।