আসাদের পতনের পর সিরিয়ার সেনা মোতায়েন দ্বিগুণ করল যুক্তরাষ্ট্র
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১১ এএম
সিরিয়ার বিরোধী বাহিনী মাত্র দুই সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে রাজধানীসহ সিরিয়ার প্রধান শহরগুলো দখল করে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়েছে। এই বাহিনীর নেতৃত্বে ছিল হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)। সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) যে অবশিষ্ট অংশ আছে, তারা সম্ভাব্য ক্ষমতার শূন্যতাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে, এমন ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে।
এমন অবস্থায় ইসলামিক স্টেট গ্রুপের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সিরিয়ায় বাহিনীর সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নাটকীয়ভাবে সেনা সদস্য বৃদ্ধির বিষয়টি পেন্টাগন বিষয়টি স্বীকার করেছে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কয়েক বছর ধরে বলেছিল, সিরিয়ায় তাদের প্রায় ৯০০ সেনা রয়েছে, কিন্তু পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার স্বীকার করেছেন, সেখানে এখন প্রায় ২ হাজার সৈন্য রয়েছে।
৮ ডিসেম্বর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদের ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার প্রেক্ষিতে পেন্টাগনকে সিরিয়ায় মার্কিন উপস্থিতি সম্পর্কে বারবার জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। কিন্তু সেনা সদস্য বৃদ্ধির বিষয়টি তারা প্রকাশ করেনি এবং পরিবর্তে ৯০০ সেনার কথা এতোদিন জানিয়ে এসেছে।
পেন্টাগন প্রেস কনফারেন্সে রাইডার বলেছেন, অতিরিক্ত বাহিনী সিরিয়ায় কয়েক মাস ধরে অবস্থান করছে। রাইডার বলেছেন, তিনি কেবলমাত্র নতুন সেনা বৃদ্ধি সম্পর্কে জেনেছেন এবং এই বৃদ্ধি আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করা বা আইএসের বিরুদ্ধে আক্রমণ বৃদ্ধির সাথে সম্পর্কিত নয়।
রাইডার কূটনৈতিক বিবেচনা এবং সংবেদনশীলতার উপর গোপনীয়তার জন্য দায়ী করেছেন, তবে আরও সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে অস্বীকার করেছেন।
সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর চলমান উপস্থিতি এবং তাদের একটি নির্দিষ্ট স্তরে রাখার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আমেরিকা এবং সিরিয়ার প্রতিবেশী - তুরস্ক এবং ইরাকের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ রয়েছে। নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য বলেছেন, তিনি মার্কিন বাহিনীকে সিরিয়ায় আরও জড়িত হওয়া সমর্থন করেন না।