Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি নিয়ে অনড় অবস্থানে সৌদি আরব: ব্লিঙ্কেন

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৯ পিএম

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি নিয়ে অনড় অবস্থানে সৌদি আরব: ব্লিঙ্কেন

ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য যে কোনো চুক্তি অংশ হিসেবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি চায় সৗেদি আরব।  এই শর্তে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান অনড় বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে আল আরাবিয়াহ।

শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক বলেছেন, ইসরাইল-সৌদি স্বাভাবিকীকরণ এটি মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতার চাবিকাঠি এবং ইসরাইলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

ব্লিঙ্কেন বলেন, প্রথমে গাজা যুদ্ধবিরতি জরুরি।  এরপর এই অঞ্চলের দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতার দিকে ফোকাস করা দরকার, যার মধ্যে ইসরাইলের নিরাপত্তা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।  অবশ্যই, এর মূল চাবিকাঠি হল ইসরাইল এবং সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা।

বুধবার প্রকাশিত পররাষ্ট্র বিষয়ক একটি সাক্ষাত্কারে ব্লিঙ্কেন জানান, আগত ট্রাম্প প্রশাসন এমন একটি চুক্তি সম্পন্ন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

ব্লিঙ্কেন বলেন, তবে এটি ঘটতে হলে, আমাদের গাজায় শান্ত হওয়া দরকার - এবং এটি সৌদিদের কাছ থেকে স্পষ্ট বার্তা- আমাদের একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের জন্য একটি বিশ্বাসযোগ্য পথও দরকার।

গত এক বছরে বেশ কয়েকটি বৈঠক হওয়া সত্ত্বেও, সম্প্রতি এই সপ্তাহে, সৌদি আরব স্বাভাবিককরণের বিনিময়ে তার দাবিগুলি সহজ করতে ইচ্ছুক, রিয়াদ বারবার পূর্ব জেরুজালেমের সাথে ১৯৬৭ সীমান্তের উপর ভিত্তি করে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে তার অবস্থানে অনড় অবস্থান জানিয়ে এসেছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ৪৪ হাজারের এরও বেশি ফিলিস্তিনি ইসরাইলি বোমাবর্ষণে নিহত হয়েছে।  ইসরাইলিরাও নিয়মিতভাবে মানবিক সাহায্যকে গাজায় প্রবেশ করতে বাধা দিয়েছে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক সতর্কবার্তায় পরিণত হয়েছে।  

ওয়াশিংটন এবং বাইডেন প্রশাসন ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইলি হামলাকে গণহত্যা বলে উল্লেখ করতে ব্যর্থ হওয়ায় ব্যাপকভাবে সমালোচিত।

প্রথম মেয়াদে ইসরাইলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরক্কো ও সুদানের কূটনীতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আব্রাহাম অ্যাকর্ডস সামনে এনেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার দ্বিতীয় মেয়াদে সৌদি আরবের সঙ্গেও একই রকম চুক্তি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

এরইমধ্যে আগামী ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউজে আসীন হওয়ার আগে মনোনীত মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভেন উইটফকে সৌদি আরব পাঠিয়েছেন ট্রাম্প।

ওয়াশিংটনে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত প্রিন্সেস রিমা বিনতে বন্দর আল-সৌদ গত মাসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামকে বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের অপ্রতিরোধ্য পথ ছাড়া স্বাভাবিকীকরণ অসম্ভব।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরের প্রয়াসে সৌদি আরব ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার শর্ত থেকে সরে আসলে মুসলিম বিশ্বে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হতে পারে সৌদি আরবের।  

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম