সংকট মোকাবিলায় ট্রুডোর সামনে সম্ভাব্য ৪টি পথ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১১ পিএম
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বর্তমানে রাজনৈতিক সংকটের মুখোমুখি। বিশেষত তার ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের আকস্মিক পদত্যাগের পর।
ফ্রিল্যান্ড তার পদত্যাগপত্রে ট্রুডোর সঙ্গে নীতি ও দিকনির্দেশনা নিয়ে মতপার্থক্যের কথা তুলে ধরেছেন।
এমন পরিস্থিতিতে ট্রুডোর সামনে চারটি প্রধান পথ খোলা রয়েছে:
১. পদত্যাগ করা
ট্রুডো ২০১৩ সাল থেকে তার দল লিবারেল পার্টির প্রধান। দলটির সংবিধান অনুযায়ী তিনি যে কোনো সময় পদত্যাগ করতে পারেন। পদত্যাগের ক্ষেত্রে তিনি তৎক্ষণাৎ সরে দাঁড়িয়ে অন্তর্বর্তী নেতা নিয়োগের পথ খুলে দিতে পারেন। নতুন নেতা নির্বাচিত হলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে।
তবে, তিনি নিজে থেকেই পদত্যাগ করবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
২. পরিস্থিতি মোকাবিলা করে টিকে থাকা
ট্রুডো সংকটের মধ্যেও নেতৃত্বে থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন। ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগের পর তিনি দলীয় বৈঠকে বলেন, তিনি সময় নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করবেন।
মঙ্গলবার লিবারেল পার্টির সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, কঠিন সময়ে থেমে থাকার পাত্র নন তিনি। এটি সাহসী হওয়ার সময়।
যদিও তার জনপ্রিয়তা অনেকটাই কমে গেছে এবং উপনির্বাচনে তার দল বেশ কয়েকটি আসন হারিয়েছে। তবুও তিনি আবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
পার্টির সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচন পরাজয়ের আগে তার নেতৃত্বের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ভোট সম্ভব নয়।
৩. অনাস্থা ভোটের কারণে নির্বাচন ডাকা
কনজারভেটিভ পার্টি সংসদে অনাস্থা ভোট আনতে চেষ্টা করেছে। তবে লিবারেলদের সঙ্গে এনডিপি এবং ব্লক কুইবেকোয়া সমর্থন করায় তারা সফল হয়নি। এরমধ্যে এনডিপি নেতা জগমিত সিং প্রথমবারের মতো ট্রুডোর পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন। যদি ট্রুডো নেতৃত্বে থাকেন, তবে এনডিপি নতুন বছরে অনাস্থা ভোট সমর্থন করবে বলে জানিয়েছে।
৪. সংসদ স্থগিত করা
অনাস্থা ভোট এড়ানোর জন্য ট্রুডো সংসদ স্থগিত করতে পারেন। এর মাধ্যমে সংসদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিলেও সরকার ভেঙে যায় না। ট্রুডো ২০২০ সালে একটি নৈতিক সংকট এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করেছিলেন। তার পূর্বসূরি স্টিফেন হার্পারও ২০০৮ সালে অনাস্থা ভোট এড়াতে এমনটি করেছিলেন।
পরিণতি:
পরিশেষে বলা যায় যে, নির্বাচনের দিকেই এগোচ্ছে কানাডা। যে পথই ট্রুডো বেছে নেন, একটি নির্বাচন আসন্ন। ফলে কানাডার পরবর্তী ফেডারেল নির্বাচন অক্টোবরের আগে হতে হবে। আর ট্রুডোর ভবিষ্যৎ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সম্ভবত ভোটারদের হাতেই থাকবে। সূত্র: বিবিসি