Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

ফুটবলার থেকে প্রেসিডেন্ট কাভেলাশভিলি, যে শঙ্কায় জর্জিয়া

Icon

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৯ এএম

ফুটবলার থেকে প্রেসিডেন্ট কাভেলাশভিলি, যে শঙ্কায় জর্জিয়া

ছবি: সংগৃহীত

ফুটবলই ছিল মিখাইল কাভেলাশভিলির প্রথম পরিচয়। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ম্যানচেস্টার সিটি ছাড়াও বেশ কিছু ক্লাবে খেলেছেন তিনি। সেই পরিচয় কাজে লাগিয়ে পরবর্তীতে রাজনীতিতে জড়িয়ে তিনি এখন জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট। সদ্যই প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন মিখাইল। তবে তিনি দায়িত্ব নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেখা দিয়েছে নতুন এক শঙ্কা। আর সেই শঙ্কা জার্জিয়ার ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যোগদান নিয়ে।

অনেকদিন ধরেই ইইউ-এর সদস্য হতে চাচ্ছে জার্জিয়া। তবে সেটা এখন শঙ্কার মুখে। কেননা, নতুন প্রেসিডেন্ট মিখাইল পশ্চিমাবিরোধী কথা বলেই ক্ষমতার চেয়ারে বসেছেন। তাছাড়া তাকে রাশিয়ার মিত্র হিসেবে দাবি করা হচ্ছে। যে কারণে বিরোধীরা মনে করেন, জর্জিয়ার ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের আকাঙ্ক্ষায় বড় ধাক্কা লেগেছে মিখাইল প্রেসিডেন্ট হওয়ায়।

এর আগে, মিখাইলের দল জর্জিয়ান ড্রিম গত ২৬ অক্টোবরের নির্বাচনে পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে। তবে বিরোধীরা অভিযোগ করে নির্বাচনে মস্কোর সহায়তায় কারচুপি করা হয়েছে। যে কারণে সংসদীয় অধিবেশন বর্জন করে এবং পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানায় তারা।

তবে তাদের সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে জর্জিয়ান ড্রিম ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের বিষয়ে নিজেদের অঙ্গীকার জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তারা রাশিয়ার সাথেও সম্পর্ক ‘পুনর্গঠন’ করতে চাওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে।

যে কারণে বিরোধী সমালোচকদের অভিযোগ- জর্জিয়ান ড্রিম ক্রমেই স্বৈরতান্ত্রিক হয়ে উঠছে এবং মস্কোর দিকে ঝুঁকছে। যদিও শাসক দল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। রাশিয়ায় সম্পদ গড়ে তোলা একজন সন্দেহজনক বিলিয়নিয়ার, বিজিনা ইভানিশভিলি জর্জিয়ান ড্রিম প্রতিষ্ঠা করেন। দলটি সম্প্রতি বাকস্বাধীনতা এবং এলজিবিটিকিউ প্লাস ‘এর অধিকারগুলিকে দমন করার জন্য ক্রেমলিন দ্বারা ব্যবহৃত আইনের মতো আইন পাস করেছে।

জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট কে এই কাভেলাশভিলি?

জর্জিয়ান ড্রিম কাভেলাশভিলিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত করেছে। তবে তার মধ্যে উচ্চশিক্ষার অভাব থাকায় বিরোধীরা তাকে নিয়ে উপহাস করছে। 

রাজনীতিতে আসার আগে তিনি ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে প্রিমিয়ার লীগে এবং সুইস সুপার লীগের কয়েকটি ক্লাবে স্ট্রাইকার হিসেবে খেলেছেন। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে জর্জিয়ান ড্রিমের মাধ্যমে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২০২২ সালে পিপলস পাওয়ার রাজনৈতিক আন্দোলনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা হন, যা জর্জিয়ান ড্রিমের মিত্র এবং শক্তিশালী পশ্চিম-বিরোধী বক্তব্যের জন্য পরিচিতি পায়।

উল্লেখ্য, গত ২৮ নভেম্বর সরকার ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের আলোচনা স্থগিত করার ঘোষণা দেওয়ার পর- সেই রাতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী সংসদ ভবনের সামনে জড়ো হয়। এরপর থেকেই চলে আন্দোলন।

দাঙ্গা পুলিশ প্রায় প্রতিদিনই বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান এবং কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে এবং তাদের মারধর করে। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কেউ কেউ পুলিশের দিকে আতশবাজি নিক্ষেপ করে এবং রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে রাস্তায় ব্যারিকেড তৈরি করে।

কয়েক শত লোককে আটক করা হয় এবং ১০০ জনেরও বেশি আহত হন। বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে পুলিশ মারধর করে এবং গণমাধ্যম কর্মীরা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী সমাবেশে মানুষকে যোগদান থেকে বিরত রাখতে গুণ্ডাদের ব্যবহার করার অভিযোগ করে। আর এই আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে ক্ষমতায় আসে জর্জিয়ান ড্রিম।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম