আসাদ সরকারের পতনে তুরস্কের দিকে অভিযোগের আঙুল খামেনির
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৭ পিএম
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলকে দায়ী করেছেন। একই সঙ্গে প্রতিবেশী দেশ তুরস্কের দিকেও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাসনিমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, খামেনি বলেছেন, ‘সিরিয়ায় যা ঘটেছে, তা এক যৌথ মার্কিন-জায়নিস্ট পরিকল্পনার ফল। এতে কোনো সন্দেহ নেই।’
তিনি আরও বলেছেন, সিরিয়ার একটি প্রতিবেশী সরকার স্পষ্টতই ভূমিকা রেখেছে, এখনো রাখছে। সবাই এটি দেখছে। তবে প্রধান ষড়যন্ত্রকারী, পরিকল্পনাকারী এবং নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র হলো যুক্তরাষ্ট্র এবং জায়নিস্ট শাসকগোষ্ঠী।
খামেনি জানিয়েছেন, আমাদের কাছে এমন প্রমাণ রয়েছে যা এই বিষয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ রাখে না। আসাদের সরকারের পতনের পর ইরান একাধিকবার যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের ভ‚মিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
খামেনির সর্বশেষ মন্তব্যে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হলো। সিরিয়ার দীর্ঘদিনের মিত্র ইরান এই রাজনৈতিক সংকটকে মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতার জন্য বড় ধরনের হুমকি বলে অভিহিত করেছে।
এদিকে রাশিয়া জানিয়েছে, বাশার আল আসাদকে তারাই সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে দামেস্ক থেকে সরিয়ে নিয়ে এসেছে।
রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রায়াবকভ মঙ্গলবার এনবিসি নিউজকে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, বিদ্রোহীদের ত্বরিত অগ্রযাত্রার মুখে বাশার আল আসাদকে খুবই সুরক্ষিত উপায়ে দামেস্ক থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। তিনি এখন সম্পূর্ণ নিরাপদ বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আসাদকে এখন বিচারের জন্য ফেরত দেওয়া হবে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সরাসরি বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত যে প্রচলিত ধারা চালু করেছে (গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি) তার সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। কী পরিস্থিতির কারণে তিনি রাশিয়ায় এলেন বা কীভাবে বিষয়গুলোর নিষ্পত্তি হবে সেগুলো নিয়ে আর কোনো মন্তব্য করবেন না বলে জানিয়েছেন রায়াবকভ।
সিরিয়ায় রোববার (৮ ডিসেম্বর) বাশার আল আসাদের সরকারের পতন ঘটে। বিদ্রোহী যোদ্ধাদের মাত্র ১২ দিনের অভিযানে ওইদিন ভোরের দিকে ঘনিষ্ঠ মিত্রদেশ রাশিয়ায় পালিয়ে যান তিনি। এর মধ্য দিয়ে সিরিয়ায় বাশার আল আসাদের ২৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। তার বাবা হাফিজ আল আসাদ ও ছেলে বাশার আল আসাদ মিলে টানা ৫৩ বছর সিরিয়া শাসন করেছেন।