গোলান মালভূমির সিরিয়া-ইসরাইল সীমান্তের বাফার জোনে নতুন করে অবস্থান নিয়েছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। 

প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারের দ্রুত পতনের পর সম্ভাব্য বিশৃঙ্খলা মোকাবিলায় রোববার (৮ ডিসেম্বর) এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। টাইমস অব ইসরাইলের বরাতে আলজাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

আইডিএফের মুখপাত্র বলেন, গোলানের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা সিরিয়ার সঙ্গে ওই এলাকায় সেনা মোতায়েন করেছে।

মুখপাত্র আরো বলেন, সেনাবাহিনী সিরিয়ার বর্তমান ঘটনায় হস্তক্ষেপ করছে না।

১৯৭৪ সালের যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর এবারই প্রথম ইসরাইলি বাহিনী বাফার জোনে স্থায়ীভাবে অবস্থান নিয়েছে। সামরিক বাহিনীর মতে, এটি একটি অস্থায়ী পদক্ষেপ হলেও পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দীর্ঘমেয়াদে এটি বজায় রাখা হতে পারে।

সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতনের সঙ্গে সঙ্গে বিদ্রোহী বাহিনী কুনেইত্রা ও দারা সীমান্ত অঞ্চল দখল করেছে। শনিবার বিদ্রোহীরা সিরিয়ার হাদার গ্রামে জাতিসংঘ পোস্টে আক্রমণের চেষ্টা করলে আইডিএফ আর্টিলারি হামলা চালিয়ে তা প্রতিহত করে।

রোববার সিরিয়ার রাজধানীর দখল নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পতন ঘটেছে দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের। 

এদিন বিদ্রোহীরা দামেস্কে ঢুকে পড়ায় প্রাণ বাঁচাতে বিমানে করে পালিয়ে গেছেন তিনি। তবে তার গন্তব্য জানা না গেলেও সিরিয়ার দুটি নিরাপত্তা সূত্র বলেছে, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

বিদ্রোহী কমান্ডার ও এইচটিএস প্রধান আবু মোহাম্মদ আল-জোলানির নেতৃত্বে সরকারবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর নভেম্বরের শেষ দিকে এই বিদ্রোহীরা অনেকটা আকস্মিকভাবেই দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পোর দখল নেন। 

শহরটি দখলের দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে দেশটির সরকারের পতন ঘটেছে। ইতোমধ্যে সিরিয়ার সামরিক বাহিনীর অনেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। আবার অনেকে বিরোধীদের সঙ্গে দেশ গঠনের প্রক্রিয়ায় যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।