Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

মাহাথির মোহাম্মদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্তের অনুমোদন

Icon

আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩১ পিএম

মাহাথির মোহাম্মদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্তের অনুমোদন

ফৌজদারি তদন্তের অনুমোদন পাওয়া গেল মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদের বিরুদ্ধে। সিঙ্গাপুর প্রণালির কাছে দুটি বিতর্কিত দ্বীপের দাবি ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে এ তদন্তের অনুমোদন দিয়েছে দেশটির রয়্যাল কমিশন অব ইনকোয়ারি (আরসিআই)। 

২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (আইসিজে) রায় দিয়েছিল, বাতু পুতেহ (পেড্রা ব্র্যাঙ্কা) সিঙ্গাপুরের অন্তর্ভুক্ত, আর মিডল রকস মালয়েশিয়ার অন্তর্ভুক্ত এবং দক্ষিণ প্রান্তের সমুদ্রসীমার মালিকানা চিহ্নিত হওয়ার পর নির্ধারিত হবে বলে জানানো হয়। তবে ২০১৭ সালে তৎকালীন মালয়েশিয়ান সরকার বাতু পুতেহর সার্বভৌমত্ব নিয়ে আইসিজের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করলেও ২০১৮ সালে ড. মাহাথিরের নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই আবেদন প্রত্যাহার করে। 

দেশটির বারনামা, দ্য স্টার, মালয় মেইল, নিউ স্ট্রেইটস টাইমসসহ প্রায় সবগুলো স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার সংসদে উত্থাপিত ২৭১ পৃষ্ঠার প্রকাশিত রিপোর্টে যে আইনি সুপারিশগুলো উল্লেখ করা হয়েছে তার মধ্যে, ড. মাহাথিরের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৪১৫(বি) ধারা অনুযায়ী অপরাধের জন্য তদন্ত শুরু করা যেতে পারে। পাশাপাশি ৪১৭ ও ৪১৮ ধারার তার শাস্তিও হতে পারে। তবে কমিশনের সচিবের মাধ্যমে একটি পুলিশ রিপোর্ট দায়ের করার প্রস্তাব করা হয়েছে যেন দ্রুত তদন্ত শুরু করা যায়। 

চলতি বছরের ২৯ আগস্ট আইন ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী দাতুক সেরি আজালিনা ওসমান পার্লামেন্টে জানিয়েছিলেন, এই রিপোর্ট মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর উত্থাপন করা হবে। তুন মোহাম্মদ রউস শরীফের নেতৃত্বে গঠিত আরসিআই মালয়েশিয়ার বাতু পুতেহ, মিডল রকস এবং দক্ষিণ প্রান্তের সার্বভৌমত্ব নিয়ে পরিচালিত বিষয়গুলো পুনর্বিবেচনা করার দায়িত্ব ছিল। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়ার রাজা সুলতান ইব্রাহিমের সম্মতিতে আরসিআই গঠন করা হয়। 

জানা গেছে, ড. মাহাথির মোহাম্মদকে বাতু পুতেহ ইস্যুতে তদন্তের সুপারিশ করার পেছনে মূল কারণ হচ্ছে, মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের (আইসিজে) রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন দেশটির মন্ত্রিসভা বা জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সম্পূর্ণ সমর্থন ছাড়াই প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম