গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি নিয়ে মিশরের নতুন প্রস্তাব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৫ এএম

গাজায় ১৪ মাসব্যাপী চলমান হামাস-ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির নতুন প্রস্তাব দিয়েছে মিশর। একজন ইসরাইলি কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার টাইমস অফ ইসরাইলকে বলেছেন, মিশরের মাধ্যমে মধ্যস্থতাকারীরা একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য তৎপরতা শুরু করেছে।
জিম্মি চুক্তি নিয়ে মিশর এ নিয়ে হামাসকে প্রস্তাব দিয়েছে। ইসরাইলি কর্মকর্তা বলেছেন, এটি কায়রোর একটি প্রস্তাব যা ইসরাইল আলোচনার জন্য সম্পূর্ণ উন্মুক্ত।
ওই কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন, প্রস্তাবটি যুদ্ধের অবসানের জন্য নয়, তবে একটি বর্ধিত যুদ্ধবিরতি যা বয়স্ক, শিশু, নারী, অসুস্থ এবং গুরুতরভাবে আহত জিম্মিদের মুক্তির অনুমতি দেবে।
বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক বার্তা সংস্থা আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইল গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ৪৪ হাজার ৫৮০ জন নিহত হয়েছেন। এই সময়ে আহত হয়েছে অন্তত ১ লাখ ৫ হাজার ৭৩৯ জন।
এদিকে টাইমস অব ইসরাইলকে একটি সূত্র জানিয়েছে, মধ্যস্থতাকারী হিসেবে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির আলোচনায় কাতার তার ভূমিকা পুনরায় শুরু করছে।
সূত্রটি জানিয়েছে, ট্রাম্পের মনোনীত মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফ নভেম্বরের শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানির সাথে আলাদাভাবে দেখা করেন।
এছাড়া আগামী জানুয়ারীতে হোয়াইট হাউজে ক্ষমতাগ্রহণের আগেই ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি চেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গাজায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের হাতে বন্দি ইসরাইলি জিম্মিদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়ে বলেছেন, জানুয়ারিতে তিনি দায়িত্ব নেওয়ার আগে জিম্মিদের ছেড়ে দিতে হবে।
সম্প্রতি নিজস্ব সামাজিকমাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আগামী ২০ জানুয়ারির আগে জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া হলে মধ্যপ্রাচ্যে চরম মূল্য দিতে হবে। যারা এই মানবতাবিরোধী অপরাধগুলো সংঘটিত করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখনই বন্দিদের মুক্তি দাও!’