নারী পাচার মামলায় শন ডিডির তৃতীয়বারের মতো জামিন নামঞ্জুর
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১০ পিএম
নানা কেলেঙ্কারিতে নিন্দিত র্যাপার ও সঙ্গীত প্রযোজক শন ডিডি কম্বস, যিনি সবার কাছে ডিডি নামেই অধিক পরিচিত, এই মূহুর্তে অনেকগুলো যৌন নির্যাতন এবং পাচারের বেশ কিছু মামলায় মুখোমুখি।
বুধবার এই র্যাপারের তৃতীয়বারের মতো জামিন অস্বীকার করেছেন ইংল্যান্ডের একটি আদালত। নথি অনুসারে, শন ডিডির বিরুদ্ধে নারী পাচার ও জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করানো ও এই সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
বিচারকরা ইতোমধ্যেই র্যাপারের জন্য দুবার জামিন অস্বীকার করেছেন। প্রসিকিউটররা তৃতীয় বারের জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে বলেছেন, শন ডিডি সাক্ষীদের সাথে যোগাযোগ করেছেন এবং কারাগারে থাকাকালীন অননুমোদিত যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেছেন।
ফেডারেল বিচারক অরুণ সুব্রামানিয়ান একটি আদেশে বলেছেন, নিম্নলিখিত কারণগুলোর জন্য কম্বসের জামিন অস্বীকার করা হয়েছে। কোনো শর্ত বা শর্তের সংমিশ্রণ যুক্তিসঙ্গতভাবে সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে না।
অরুণ সুব্রামানিয়ান জামিন নিয়ে আইনি লড়াইয়ের জন্য কম্বসের আবেদনও প্রত্যাখ্যান করেন।
ফেডারেল প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, শন ডিডি ২০০৮ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত তার যৌন আকাঙ্ক্ষা পূরণ করার জন্য অনেক নারীকে ব্যবহার ও নিপীড়ন করেছেন। একইসঙ্গে নিজের পরিচয় গোপনের জন্য তার পরিচিত অনেককেই হুমকি দিয়েছেন ও নির্যাতন করেছেন। তারা আরও বলেন, নারীদের দিয়ে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তি বা যৌনকর্ম করানোর সময় গোপনে ডিডি ভিডিও করে রাখতেন।
গ্রেফতারের ঘটনার বিষয়ে কম্বসের আইনজীবী মার্ক অ্যাগনিফিলো মঙ্গলবার সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘কম্বস জানতেন যে এরকম কিছু একটা হবে। এরকম একটা দিন আসবে জেনেই আমরা দুই সপ্তাহ আগে তাকে নিউ ইয়র্কে এনেছিলাম এবং দিনটি এসে গেছে।’
শন ডিডি কম্বসের বিরুদ্ধে নারীপাচার, জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করানো ও এই সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে। ফেডারেল প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, ডিডি ২০০৮ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত তার যৌন আকাঙ্ক্ষা পূরণ করার জন্য অনেক নারীকে ব্যবহার ও নিপীড়ন করেছেন। একইসঙ্গে নিজের পরিচয় গোপনের জন্য তার পরিচিত অনেককেই হুমকি দিয়েছেন ও নির্যাতন করেছেন। তারা আরও বলেন, নারীদের দিয়ে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তি বা যৌনকর্ম করানোর সময় গোপনে ডিডি ভিডিও করে রাখতেন।
অভিযোগপত্র অনুসারে, শন ডিডি কম্বসের বিরুদ্ধে পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে নারী পাচার, অপহরণ, অগ্নিসংযোগ ও এই সংক্রান্ত বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। ডিডিকে হেফাজতে নেয়ার পর এই অভিযোগ পত্র প্রকাশ করা হয়। অভিযোগপত্র অনুযায়ী, ডিডি পেশাদার পুরুষ যৌন কর্মীদের সঙ্গে একটি পারফর্মেন্সে অংশ নিতে কিছু নারীকে বাধ্য করেছিলেন। আরও জানা যায়, পেশাদার সেসব যৌন কর্মীদের কাছে ওই নারীদের পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থাও করেন ডিডি।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, ২০০৯ সালের পর থেকে শুরু করে বেশ লম্বা সময় ধরে ডিডি বিভিন্ন সময়ে নারীদের নির্যাতন করেছেন। অভিযোগপত্রে ২০১৬ সালের এক হোটেলের সিকিউরিটি ক্যামেরার ফুটেজে ধরা পড়া এক ঘটনার বিষয়ে উল্লেখ আছে। এই বছরের শুরুর দিকে সিএনএন ওই ফুটেজ সম্প্রচার করে।
এসব অভিযোগে চলতি সেপ্টেম্বরে ম্যানহাটনের এক হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয় শন ডিডিকে। এরপর থেকে তিনি কারা হেফাজতেই রয়েছেন।