পুরোনো চালের বস্তা দিয়ে তাঁবু তৈরি, শীতে গাজার শরণার্থী শিবিরে দুর্ভোগ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৯ পিএম
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে বাস্তচ্যুত গাজা বাসিন্দাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। এরমধ্য এক বছরের বেশি সময় পার হলেও যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি কোনাে পক্ষ। আসন্ন শীতে গাজার শরণার্থী শিবিরে তীব্র মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এমনিতেই গাজায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সাহায্য, খাদ্য এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা নেই। সেখানে শীতকালে ভারী বৃষ্টি এবং উচ্চ জোয়ারসহ ঠান্ডা তাপমাত্রা এবং রুক্ষ আবহাওয়া কারণে আরো কষ্ট বাড়াবে বাস্তুচ্যুত বাসিন্দাদের। দক্ষিণ গাজার তাঁবুতে হতাশাজনক পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন আল জাজিরার সাংবাদিকরা।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে আল জাজিরা জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণ উপকূলে উচ্চ জোয়ার প্লাবিত হয়েছে এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের কিছু তাঁবু ভেসে গেছে।
সেখান থেকে সাংবাদিকরা বলছেন, শীত এবং ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে বাস্তচ্যুত মানুষরা বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে বসবাস করছে।
ত্রাণ সহায়ক গোষ্ঠীর মতে, গাজার ১ মিলিয়নেরও বেশি ফিলিস্তিনি এই বছর শীতের আবহাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সম্বল নেই।
অবরোধ এবং অবকাঠামো ধ্বংসের কারণে বিশুদ্ধ পানি, খাদ্য এবং চিকিৎসা সরবরাহ সীমিত হয়ে পড়েছে গাজায়। জনাকীর্ণ, অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতিতে রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করেছে। পর্যাপ্ত গরম পোশাকের অভাব ক্যাম্পে বসবাসকারীদের, বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্কদের বেঁচে থাকার জন্য হুমকিস্বরূপ।
ইসরাইলের অবিরাম বোমাবর্ষণে গাজাজুড়ে বাড়িঘর এবং অবকাঠামো সমতল করে ফেলা হয়েছে। বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের কম্বল, কার্ডবোর্ড এবং এমনকি পুরানো চালের বস্তা থেকে তৈরি অস্থায়ী তাঁবুতে আশ্রয় নিতে বাধ্য করেছে।
আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং স্থানীয় মানবিক গোষ্ঠীগুলো সতর্ক করেছে যে, জরুরি সাহায্য না পৌঁছালে আগামী মাসে হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শীত মৌসুমে গাজার তাঁবু শিবিরে বাস্তুচ্যুত লোকদের দুর্ভোগ প্রশমিত করার জন্য আরও সহায়তা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।