প্রতিরক্ষামন্ত্রী পাল জনসন
পুতিনের হুমকিতে সুইডেন ভয় পায় না
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪০ পিএম
![পুতিনের হুমকিতে সুইডেন ভয় পায় না](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2024/11/22/Pal-Jonson-6740b4142539f.jpg)
সুইডেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পাল জনসন বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের উস্কানি বা হুমকিতে সুইডেন ভীত হবে না।
সম্প্রতি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পশ্চিমা দেশগুলোকে এক সতর্কবার্তা দেওয়ার পর শুক্রবার তিনি এ মন্তব্য করেন।
এর আগে, পুতিন তার সতর্কবার্তায় ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহকারী দেশগুলোতে আঘাত হানা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
জনসন এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সুইডেন ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াবে এবং তাদেরকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ক্রয়ের জন্য ‘উল্লেখযোগ্য তহবিল’ও সহায়তা দেবে।
জনসন বলেন, ‘রাশিয়ার সাম্প্রতিক উস্কানি ও প্ররোচনার লক্ষ্য ইউক্রেনকে সমর্থন করা থেকে আমাদের বিরত রাখা। কিন্তু এটি কখনই সফল হবে না’।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘ইউক্রেনকে সমর্থন দেওয়া ন্যায়সঙ্গত এবং বুদ্ধিমানের কাজ। এটি আমাদের নিজেদের নিরাপত্তায়ও একটি বিনিয়োগ। কারণ ইউক্রেনের নিরাপত্তা আমাদের নিরাপত্তারই অংশ’।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্টেম উমেরভের সঙ্গে যৌথ এ সংবাদ সম্মেলনে জনসন বলেন, আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে ইউক্রেনের নিজস্ব এবং বাইরের ভূখণ্ডে আত্মরক্ষা করার পূর্ণ অধিকার রয়েছে। আমরা আনন্দিত যে, আমরা তাদের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও স্ট্রাইক ড্রোন উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করতে পারছি।
পুতিনের হুমকি
এর আগে বৃহস্পতিবার পুতিন বলেছেন যে, ইউক্রেন সংঘাতের বৈশিষ্ট্যগুলো ‘বিশ্বব্যাপী যুদ্ধের’ মতো। তিনি ইউক্রেনের মিত্রদের সমালোচনা করে বলেন, তারা পশ্চিমা অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভূখণ্ডে আঘাত হানার অনুমতি দিয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ ছড়িয়ে দেওয়ার শামিল।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইউক্রেন প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের সরবরাহকৃত ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার ভূখণ্ডে নিক্ষেপ করেছে। যা প্রায় তিন বছর ধরে চলমান সংঘাতের উত্তেজনা আরও বাড়িয়েছে।
পুতিন বলেন, যেসব দেশ তাদের অস্ত্র আমাদের স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে, তাদের সামরিক স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের অস্ত্র ব্যবহার করার অধিকার রয়েছে।
এ নিয়ে সুইডেন স্পষ্ট করেছে যে, তারা রাশিয়ার হুমকির মুখেও ইউক্রেনকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে। ইউক্রেনের প্রতি এই সমর্থন কেবল নৈতিক দিক থেকেই নয়, বরং ইউরোপের সামগ্রিক নিরাপত্তার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে দেশটি। সূত্র: রয়টার্স