নিজ্জর হত্যার ষড়যন্ত্রে মোদির ‘সংশ্লিষ্টতা’ নিয়ে মুখ খুলল কানাডা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৭ পিএম
শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যার ঘটনায় কানাডা ও ভারতের মধ্যে বৈরি সম্পর্কের সম্প্রতি বোমা ফাটিয়েছে কানাডার এক সংবাদমাধ্যম। সরকারি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেল নামে ওই সংবাদমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে দাবি করে, নিজ্জর হত্যার ষড়যন্ত্রের কথা আগে থেকেই জানতেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এমন পরিস্থিতিতে নিজ্জর খুনে মোদির নাম জড়নোয় স্বভাবতই ক্ষুব্ধ ভারত। এ প্রতিবেদনকে ‘হাস্যকর’ বলে উড়িয়ে দেয় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।
এবার উত্তেজনার মুখে বৃহস্পতিবার কানাডা সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশের অভ্যন্তরে গুরুতর অপরাধমূলক কার্যকলাপের ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, বা জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে যুক্ত করার কোনও প্রমাণ তারা কাউকে জানায়নি বা এই ব্যাপারে জানে না।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী মোদি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বা নিরাপত্তা উপদেষ্টা দোভালের বিরুদ্ধে কানাডার মাটিতে কোনও অপরাধমূলক কাজের প্রমাণ নেই। অভিযুক্ত হিসাবে এদের কারো নামও উল্লেখ করেনি কানাডার সরকার।
এর আগে কানাডার সংবাদমাধ্যমটি দাবি করে, নিজ্জরকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রধানমন্ত্রী মোদি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে সেই পরিকল্পনার কথা জানানো হয়েছিল।
ওই প্রতিবেদনে, নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত, সেই তালিকায় রাখা হয়েছিল কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার সঞ্জয়কুমার ভর্মাও। নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনার ও অন্যান্য কূটনীতিকের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তোলার পর তাদেরকে দেশে ফেরত আনে দিল্লি। একই সঙ্গে বহিষ্কার করা হয় ভারতে কর্মরত কয়েকজন কানাডিয়ান কূটনীতিককেও।
এখানেই শেষ নয়, কানাডার মন্ত্রী ডেভিড মরিসন সম্প্রতি পার্লামেন্ট কমিটিকে জানিয়েছিলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশেই কানাডায় খালিস্তানিদের উপর হামলা ও ষড়যন্ত্র হয়েছে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস