সিরিয়ার ভূখণ্ডে ইসরাইলি আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়েছে ইরান। তেহরান বলছে, আরব অঞ্চলে ইসরাইলের অস্থিত্ব অবৈধ। অবিলম্বে ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধ বন্ধ করার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে আহ্বান জানিয়েছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 

শনিবার (১৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে মেহর নিউজ।

সাম্প্রতিক সময়ে সিরিয়ার মাটিতে হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে ইসরাইল। বিশেষ করে গত কয়েকদিন ধরে রাজধানী দামেস্ক এবং এর আশেপাশের বিভিন্ন এলাকাকে লক্ষ্যবস্তু করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।  এতে বিদেশি দূতাবাস, নিরাপত্তা সদর দফতর এবং জাতিসংঘের অফিস রয়েছে।

বৃহস্পতিবার মাজেহ পাড়ায় ইসরাইলি হামলায় ১৩ সিরীয় নাগরিক নিহত হয়েছে।এছাড়া দামেস্কের উপকণ্ঠে হামলায় ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়, তাদের সবাই ইসলামিক জিহাদ প্রতিরোধ আন্দোলনের সদস্য যারা সেখানে আশ্রয় নিয়েছিল।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশগুলোতে ইসরাইলের আগ্রাসন ও অপরাধের সম্প্রসারণ এবং সিরিয়ার আরব প্রজাতন্ত্রের সরকারের আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং জাতীয় সার্বভৌমত্বের বারবার এবং স্পষ্ট লঙ্ঘন’।

‘এসব আক্রমণ জাতিসংঘের সনদ অনুসারে স্পষ্টভাবে অনুপ্রবেশ হিসাবে বিবেচনা করা এবং জরুরি পদক্ষেপের প্রয়োজন। হামলা বন্ধ করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে ইসরাইলের কাছে জবাবদিহি চাইতে হবে’।

ইরানি মুখপাত্র বেসামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে ইসরাইলের অব্যাহত আগ্রাসন এবং নারী ও শিশুসহ নিরপরাধ লোকদের গণহত্যার ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করে বলেছেন, এই ধরনের কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক ও মানবিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।

ইসরাইলকে অস্ত্র সরবরাহকারীরা অপরাধের সাথে জড়িত এবং সহযোগী বলে উল্লেখ করে বাঘাই বলেন, ‘এ অঞ্চলের জনগণ এবং ইসলামী উম্মাহ আমেরিকাকে ইহুদিবাদী শাসকের বৃহত্তম অস্ত্র এবং রাজনৈতিক সমর্থক হিসেবে বিবেচনা করে।  মার্কিনীরা ইসরাইলের অপরাধের অংশীদার এবং সহযোগী’।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সিরিয়ার সরকার ও জাতি, ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদ আন্দোলন এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং ইসরাইলি হামলায় আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।