ভারতের গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য মহারাষ্ট্রের বিধানসভায় ভোট চলাকালে সংবিধান ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এক হাত নিয়েছেন দেশটির বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধী।
বৃহস্পতিবার বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে সংবিধান ও দেশের জাতীয় প্রতীককে অসম্মান করার অভিযোগ তোলেন রাহুল।
সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদি মন্তব্য করেন যে, রাহুল গান্ধী যে ‘লাল বই’ অর্থাৎ সংবিধান তুলে ধরছেন, তা ফাঁকা পাতা ছাড়া কিছু নয়।
এই বক্তব্যের জবাবে রাহুল গান্ধী বলেন, প্রধানমন্ত্রী এই বইটিকে ফাঁকা ভাবেন, কারণ তিনি সেটি পড়ার প্রয়োজন বোধ করেন না এবং কখনও পড়েন নাই। সংবিধানকে সম্মান না করার মনোভাব বিজেপির রাজনীতিতে বারবার প্রতিফলিত হয়েছে।
রাহুল গান্ধীর দাবি, বিজেপি বারবার সংবিধানের বিরোধিতা করছে এবং দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, বিজেপি সংবিধানকে গুরুত্ব দেয় না, তারা বারবার এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে যা আমাদের সংবিধান এবং গণতন্ত্রের ভিত্তিকে দুর্বল করছে। সংবিধান কেবল একটি বই নয়; এটি আমাদের অধিকার ও স্বাধীনতার প্রতীক।
রাহুল আরও অভিযোগ করেন, বিজেপি জাতীয় প্রতীক এবং আদর্শকে অবমাননা করছে। তারা দেশের বিভিন্ন জাতীয় প্রতীককে সম্মান দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা ইতিহাস বিকৃত করে নিজেদের সুবিধার্থে জাতীয় প্রতীক ও মহান ব্যক্তিত্বদের ব্যবহার করছে।
এই ঘটনার পর কংগ্রেস নেতৃত্বে বিজেপির বিরুদ্ধে তাদের প্রচার আরও জোরদার করেছে। কংগ্রেস নেতারা বলছেন, বিজেপি দেশের ঐতিহ্য, ইতিহাস এবং সংবিধানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের দাবি, মোদির নেতৃত্বে বিজেপি একটি একনায়কতান্ত্রিক মনোভাব গ্রহণ করেছে, যা দেশের গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর।
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলা হয়, সংবিধান দেশের জন্য একটি পবিত্র দলিল এবং এর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন সকল নাগরিকের দায়িত্ব।
বিজেপির মন্তব্যগুলো সংবিধানের মূল আদর্শের সঙ্গে বিরোধী বলে দাবি করেছে কংগ্রেস। রাহুল গান্ধীর এই অভিযোগের পর বিজেপিও কংগ্রেসের দিকে তীব্র সমালোচনা ছুড়ে দেয়।
বিজেপি নেতারা দাবি করেন, কংগ্রেস বরাবরই দেশের অগ্রগতির পথে বাধা সৃষ্টি করেছে এবং সংবিধান রক্ষার নামে তাদের নিজস্ব স্বার্থসিদ্ধির চেষ্টা করছে।
বিজেপির এক মুখপাত্র বলেন, কংগ্রেসের কাছে সংবিধান একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার ছাড়া কিছুই নয়। তারা যখন ক্ষমতায় ছিল, তখনও সংবিধানকে সম্মান দিতে ব্যর্থ হয়েছে।