ইসরাইলের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলছে যুক্তরাষ্ট্র
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৬ পিএম
গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার ফলে ইসরাইল যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে বলে দাবি করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। তবে এই দাবির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, ‘এমন কিছু যা আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে একমত নই। আমরা মনে করি যে এই ধরণের বাক্যাংশ এবং এই ধরণের অভিযোগ অবশ্যই ভিত্তিহীন’।
প্যাটেল স্বীকার করে বলেন— গাজায় যা হচ্ছে তা গ্রহণযোগ্য সীমার বাইরে।
‘ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য রেডলাইন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন এবং জি-৭ মিত্রদের দ্বারা যুদ্ধের শুরুতে দেওয়া নীতিগুলির সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ’।
তবে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ নিয়ে তার অন্য যুক্তি— ‘বেসামরিক লোকজনকে নির্দিষ্ট সামরিক অভিযান পরিচালনা করার সময় একটি নির্দিষ্ট এলাকা খালি করতে বলা এবং তারপরে তাদের বাড়ি যেতে বলা সম্পূর্ণরূপে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং গ্রহণযোগ্য। আমরা কোন ধরণের জোরপূর্বক স্থানচ্যুতি দেখিনি’।
এদিকে জাতিসংঘের এই দাবি নিয়ে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ এর আগেও এ ধরনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। উল্টো তারা দাবি করে, তাদের সামরিক বাহিনী আন্তর্জাতিক আইন এবং যুদ্ধনীতি মেনে কাজ করছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবরে ইসরাইলি সীমান্ত পেরিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা এবং ২৫০ জনেরও বেশি মানুষকে জিম্মি করে নিয়ে যায় ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।ওইদিন থেকেই গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে ইসরাইল।
হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, এ পর্যন্ত ইসরাইলের হামলায় ৪৩ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে এক লাখেরও বেশি মানুষ।
অন্যদিকে জাতিসংঘের দেওয়া তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের আগে গাজায় ২ কোটি ৪০ লাখ মানুষের বসবাস ছিল। তখন থেকে ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১ কোটি ৯০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।