বাইডেন-ট্রাম্প বৈঠক, জিম্মি মুক্তি নিয়ে কী কথা হলো?
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৪ পিএম
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানুয়ারিতে ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে স্থানীয় সময় বুধবার (১৩ নভেম্বর) হোয়াইট হাউসে মিলিত হন তারা। বৈঠকে ট্রাম্পের কাছে ইউক্রেন, মধ্যপ্রাচ্য ইস্যু ও গাজায় মার্কিন জিম্মিদের বিষয় উত্থাপন করেন বাইডেন। এছাড়া ট্রাম্পকে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।
এতে বলা হয়, বৈঠকে বর্তমানে হামাসের হাতে বন্দী মার্কিন নাগরিকদের মুক্তির নিরাপদ প্রচেষ্টা নিয়ে কথা বলেন দুই নেতা। যদিও প্রায় দুই ঘণ্টা স্থায়ী বৈঠকের বেশিরভাগ খবর অনেকাংশে ব্যক্তিগত থাকে, তবে মনে করা হচ্ছে বৈঠকটি ইউক্রেন যুদ্ধ এবং গাজার জটিল পরিস্থিতি মোকাবেলায় মার্কিন সরকারের বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ। বাইডেন বারবার বলেছেন, আমেরিকানসহ জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করা তার প্রশাসনের জন্য একটি শীর্ষ অগ্রাধিকার।
বাইডেন প্রশাসন মিত্রদের সাথে সমন্বয় করে, জিম্মিদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তনে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে কাজ করছে। ট্রাম্পের সাথে সাক্ষাতের সময় বাইডেনের জনসমক্ষে বিষয়টির স্বীকৃতি পরিস্থিতির গুরুত্ব এবং সংকট মোকাবেলায় দ্বিপক্ষীয় সমর্থনের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।
বৈঠক সম্পর্কে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার তার ওভাল অফিসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বৈঠকের সময় গাজায় আমেরিকান জিম্মিদের ইস্যুটি উত্থাপন করেছেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে সুলিভান বলেন, ‘বিদায়ী প্রশাসন ট্রাম্পের টিমকে জানিয়েছে, জিম্মি চুক্তি বাস্তবায়ন করার জন্য সহযোগিতা করতে প্রস্তুত’।
এ ছাড়া হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র কারিন জঁ পিয়েরে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘দেশের ও বিশ্বের মুখোমুখি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নিরাপত্তা ও অভ্যন্তরীণ নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করেছেন তারা। এটি সত্যিই খুব সৌহার্দ্যপূর্ণ, খুবই কোমল ও মৌলিক ছিল।’
অন্যদিকে নিউ ইয়র্ক পোস্টকে বৈঠক নিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, কথোপকথনের সময় তিনি ও বাইডেন ‘মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে খুব বেশি কথা বলেছেন।’
বৈঠকে বাইডেন বলেন, ‘আমরা আগে যেমনটা বলেছি, আমরা একটি শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রত্যাশা করছি।’ ট্রাম্পের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনার সুবিধার জন্য যা যা দরকার, তা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। স্বাগতম, ফিরে আসায় আপনাকে স্বাগতম।’
গত বছরের ৭ অক্টোবরের হামলার সময় হামাস যোদ্ধারা ২০০ জনেরও বেশি লোককে অপহরণ করেছিল। তার মধ্যে ১ বছর আগে ১০৫ জন নারী, শিশু ও বিদেশি নাগরিককে হামাসের সঙ্গে সাময়িক এক সমঝোতায় ছাড়িয়ে আনা হয়। চার জন যুদ্ধের শুরুতেই মুক্ত হয়েছিলেন। আর আট জনকে সামরিক বাহিনী উদ্ধার করে।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমের মতে, প্রায় সাত আমেরিকান গাজায় হামাসের হাতে বন্দি রয়েছেন।