মধ্যপ্রাচ্যের বাইরেও যুদ্ধ ও অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৬ পিএম
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় এবং লেবাননে ইসরাইলের যে যুদ্ধ চলছে তা মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে অনেক দূরে পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি।
আরাগচি সতর্ক করে বলেছেন, যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার ক্ষতিকর প্রভাব কেবল পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। বরং নিরাপত্তাহীনতা ও অস্থিরতা অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। যা বিশ্বের জানা উচিত।
শনিবার ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে প্রচারিত এক বক্তৃতায় এ সতর্কবার্তা দিয়েছেন আরাগচি। খবর- দ্য টাইমস অব ইসরাইল।
গত বছরের অক্টোবরে শুরু হওয়া ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ কেন্দ্র করে উত্তেজনা বাড়তে থাকে মধ্যপ্রাচ্যে। গাজার পর লড়াই শুরু হয়েছে লেবাননে। সম্প্রতি গাজা যুদ্ধ থেকে সামরিক শক্তিকে লেবাননের দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। গত সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে পুরোমাত্রার যুদ্ধ শুরু করেছে ইসরাইল।
এদিকে লেবাননে ইসরাইলি হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর এক জেনারেল নিহত হওয়ার পর গত ১ অক্টোবর ইসরাইলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান। ওই দিন ইসরাইলি ভূখ-ে দুই শতাধিক রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরানের সামরিক বাহিনী। এই হামলার জবাবে গত ২৬ অক্টোবরে ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী।
ইরানের সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, ২৬ অক্টোবর ইসরাইলি হামলায় ইরানের সামরিক বাহিনীর চার সদস্য নিহত ও রাডার ব্যবস্থায় সীমিত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইরানের গণমাধ্যমের খবরে ইসরাইলি হামলায় একজন বেসামরিকের প্রাণহানির তথ্যও জানানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইল পালটা হামলা না চালাতে ইরানকে সতর্ক করলেও তেহরান কঠোর জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, গাজা এবং লেবাননে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি ইরানের প্রতিক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে। চলতি মাসের শুরুর দিকে তিনি বলেছেন, ‘যদি তারা (ইসরাইলিরা) যুদ্ধবিরতি মেনে নেয় এবং এই অঞ্চলের নিপীড়িত ও নিরপরাধ মানুষকে গণহত্যা বন্ধ করে, তাহলে সেটি আমাদের প্রতিক্রিয়ার মাত্রা ও ধরনে প্রভাব ফেলতে পারে।’
বৃহস্পতিবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির একজন উপদেষ্টা ইসরাইলকে কঠোর জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন।
রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আলী লারিজানি বলেছেন, ইরানে সংঘাত টেনে নিয়ে আসাই ইসরাইলের লক্ষ্য। এই ফাঁদ এড়াতে আমাদের অবশ্যই বুদ্ধিমানের সাথে কাজ করতে হবে এবং সহজাত প্রতিক্রিয়া দেখানো যাবে না।