৩০০ ইলেক্টোরাল ভোট ছাড়ালেন ট্রাম্প, বাকি আছে অ্যারিজোনা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪০ পিএম
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বুধবারই একচেটিয়া বিজয় নিশ্চিত করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। সব রাজ্যের ফল প্রকাশিত হওয়ার আগেই প্রয়োজনীয় ২৭০ ইলেক্টোরাল ভোট নিশ্চিত করে ফেলেন তিনি। সাত সুইং স্টেটের মধ্যে এখন পর্যন্ত ছয়টি রাজ্যের ফল প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে ছয়টিতেই জয় পেয়েছেন ট্রাম্প। এখন বাকি আছে কেবল অ্যারিজোনা রাজ্যের ফল।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন শুক্রবার (৮ নভেম্বর) জানিয়েছে, সবশেষ প্রকাশিত সুইং স্টেট নেভাদায়ও জয় পেয়েছেন ট্রাম্প। এই রাজ্যে গত দুইবারের নির্বাচনে ট্রাম্পকে হারিয়েছিলেন হিলারি ক্লিন্টন এবং জো বাইডেন। আর এবার সেই তিক্ত হারের মধুর প্রতিশোধ নিলেন ট্রাম্প। জয় তো জয়ই, তবে সেই জয় যখন হয় প্রতিপক্ষের দূর্গ গুঁড়িয়ে দেওয়ার মতো, সেখানে কৃতিত্ব আরো বিশাল।
শুধু তাই নয়, নেভাদা জয়ের মাধ্যমে ট্রাম্পের বর্তমান ইলেক্টোরাল ভোটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০১। অথচ নির্বাচনের আগে বলা হচ্ছিল, এবারের নির্বাচন হবে তুমুল হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। ফল ঘোষণা হতে লেগে যেতে পারে কয়েকদিন। কিন্তু সব জরিপ এবং পরিসংখ্যান এলোমেলো রেকর্ডবুকে ভাগ বসালেন ট্রাম্প। ২০১৬ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প পেয়েছিলেন ৩০৪ ইলেক্টোরাল ভোট। মনে করা হচ্ছে, ইলেক্টোরাল ভোটের হিসাবে এবার আগের পরিসংখ্যান ভেঙে ফেলবেন তিনি।
কারণ, সুইং স্টেট অ্যারিজোনার ফল এখনো প্রকাশিত হয়নি। এই রাজ্যে ইলেক্টোরাল ভোট রয়েছে ১১টি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজের তথ্য অনুসারে, এখন পর্যন্ত যা ব্যালট গণনা হয়েছে সেখানে ৫২.৫ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প। সেক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা হতে দেরি হলেও, মনে করা হচ্ছে অ্যারিজোনাতেও জয় পাবেন ট্রাম্প।
সেক্ষেত্রে এবার নির্বাচনে সুইং স্টেট তথা দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য বিবেচিত সাতটি স্টেটেই জয়ী হচ্ছেন ট্রাম্প। যেখানে মাত্র একটি সুইং স্টেটে নিজের পক্ষে ফল আনতে পারেননি কমলা হ্যারিস।
১৯৪৮ সালের নির্বাচনের অ্যারিজোনায় মাত্র দুইবার ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জয় পেয়েছেন। তাই এখানে কমলা হ্যারিসের জয়ের সম্ভাবনা যে একেবারেই ক্ষীণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অর্থ্যাৎ, ২২৬ ইলেক্টোরাল ভোটেই থামতে হচ্ছে হ্যারিসকে। অথচ ট্রাম্পের বিপক্ষে ২০১৬ সালে তার চেয়েও বেশি, ২২৭ ইলেক্টোরাল ভোট পেয়েছিলেন হিলারি ক্লিনটন।
তথ্যসূত্র: সিএনএন, নিউইয়র্ক টাইমস, এনবিসি নিউজ।