ট্রাম্পের জয়ে আমেরিকা ছাড়ার সিদ্ধান্ত ইলন মাস্কের মেয়ের
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩০ পিএম
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইলন মাস্কের মেয়ে ভিভান জেনা উইলসন। অথচ ট্রাম্পের একজন পার ভক্ত জেনার বাবা মাস্ক।
বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্কের সঙ্গে ২০২২ সালে সম্পর্ক ছিন্ন করেন ২০ বছর বয়সি জেনা। সেই সময় তিনি জেন্ডার রূপান্তর (ছেলে থেকে মেয়ে হওয়া) ও নিজের নাম পরিবর্তনের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন।
বাবার সঙ্গে সম্পর্কছেদের অংশ হিসেবে নাম পরিবর্তনও করেছিলেন জেনা উইলসন। আর ট্রাম্পের জয়ের পর এখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেই সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাইছেন তিনি।
গত বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থ্রেডসে একটি পোস্ট দেন জেনা উইলসন। সেখানে তিনি লিখেছেন- ‘আমি কিছু সময়ের জন্য ভাবনাচিন্তার মধ্যে ছিলাম, কিন্তু গতকাল আমি মনস্থির করে ফেলেছি। যুক্তরাষ্ট্রে থাকার মধ্যে আমি ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছি না।’
ইলন মাস্ক ও তার প্রথম স্ত্রী জাস্টিন উইলসনের ঘরে ছয় সন্তান। তাদেরই একজন জেনা। রূপান্তরিত নারী জেনা আগে ছেলে ছিলেন।
এর আগে জেনা তার বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন, তিনি থেকেও না থাকার মতো। তার রূপান্তরিত (ট্রান্সজেন্ডার) হওয়ার বিষয়টি তিনি মেনে নিচ্ছেন না।
এদিকে মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পেছনে বেসরকারি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ‘নব্য মার্ক্সবাদীদের’ দায়ী করেন মাস্ক।
জীবনীকার ওয়াল্টার ইসাকসনের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় মাস্ক দাবি করেছিলেন, সান্তা মনিকা শহরের ক্রসরোডস স্কুল ফর আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসই জেনা উইলসনের মাথায় ওই ‘ভাইরাস’(ছেলে থেকে মেয়ে হওয়ার ইচ্ছা) ঢুকিয়েছে।
মেয়ে সম্পর্কে মাস্ক বলেন, ‘ও পুরোপুরি সাম্যবাদী হওয়ার জন্য সমাজতন্ত্র থেকে বিচ্যুত হয় এবং ভাবতে থাকে যে ধনী মানেই খারাপ।’
মাস্কের দাবি, প্রথম সন্তান নেভাডার মৃত্যুতে যতটা না কষ্ট পেয়েছিলেন, তার চেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছেন মেয়ে জেনা উইলসনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার কারণে।
তিনি বলেন, ‘আমি কথা বলার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু ও আমার সঙ্গে থাকতে চায় না।’
রক্ষণশীল চিন্তাবিদ জর্ডান পিটারসনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আবার মাস্ক বলেছেন, ‘আমার ছেলেকে হারিয়েছি’ এবং উইলসন ‘মৃত’।
এদিকে এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেনা বলেন, প্রায় চার বছর তিনি বাবার সঙ্গে কথা বলেননি।