ময়নাতদন্তের রিপোর্ট
মৃত্যুর আগে ৭২ ঘণ্টা কিছুই খাননি ইয়াহিয়া সিনওয়ার
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩০ পিএম
ইসরাইলি অভিযানে নিহত হওয়ার সময় তিন দিন ধরে কিছুই খাননি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার। সম্প্রতি ইসরাইলি ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ময়নাতদন্তকারী ইসরাইলি চিকিৎসক বলেছেন, ডিএনএ ও অন্যান্য তথ্য দিয়ে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন।
জর্ডানের আল-বুয়াবা নিউজ এজেন্সি কুদস নিউজ নেটওয়ার্কের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে লিখেছে, ইয়াহিয়া সিনওয়ার তার শাহাদাতের আগে ৭২ ঘণ্টা কিছু খাননি।
সিনওয়ারকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে চালানো হামাসের নজিরবিহীন হামলার পরিকল্পক মনে করা হয়। এই হামলার প্রতিশোধ নিতে ওই দিন থেকেই গাজায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক আক্রমণ শুরু করে ইসরাইল, যা গাজা যুদ্ধের সূচনা ঘটায়। গত এক বছর ধরে সিনওয়ারকে হন্ন হয়ে খুঁজছিল ইসরাইল।
নিহত হওয়ার আগে ইসরাইলি বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে ইয়াহিয়া সিনওয়ার বাহুতে গুলিবিদ্ধ হন।
পরে আঙুলের ছাপসহ ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হয় যে, সিনওয়ার নিহত হয়েছেন। অবাক করা বিষয় হলো, অভিযানের সময়ও ইসরাইলি সেনারা জানতেন না, সেখানে সিনওয়ার রয়েছেন; যদিও সিনওয়ার ইসরাইলের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ ব্যক্তি ছিলেন। ইসরাইলি বাহিনী বিশ্বাস করত, হামাসের প্রধান কোনো সুড়ঙ্গে লুকিয়ে আছে।
অভিযানকালে হামাসের দুই যোদ্ধা একটি ভবনে ঢুকে পড়েন। তৃতীয় একজন অন্য একটি ভবনে ঢোকেন। এর পর তাদের সঙ্গে ইসরাইলি সেনাদের ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলি হয় বলে জানায় ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। তৃতীয় ব্যক্তিটিই ছিলেন সিনওয়ার।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী একটি ছোট ড্রোন থেকে নেওয়া ফুটেজ প্রকাশ করেছে। ফুটেজে ধুলামাখা যে ব্যক্তিকে চেয়ারে বসে থাকতে দেখা যায়, তিনিই সিনওয়ার। তার হাতে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। মুখ ছিল স্কার্ফে ঢাকা।
ফুটেজে আরও দেখা যায়, বসে থাকা অবস্থায় আহত সিনওয়ার ড্রোনটির দিকে একটি লাঠি ছুড়ে মারছেন। তবে ড্রোনটিকে আটকাতে ব্যর্থ হন তিনি।
এর পরই সিনওয়ারকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। গুলি তার মাথায় লাগে।