বিজেপির ইশতেহারে প্রথমেই ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ প্রসঙ্গ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৯ পিএম
কদিন পরই ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচনি ইশতেহার প্রকাশ করেছে বিভিন্ন দল। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপি ২৫ দফার ইশতেহার ঘোষণা করেছে। যেখানে প্রথমেই বলা হয়েছে, তারা বাংলাদেশ থেকে ঝাড়খণ্ডে আগত ‘অনুপ্রবেশকারীদের তাড়িয়ে দেবে’।
বিজেপি সাম্প্রতিক সময়ে বারবার ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশের বিষয়টি খুব বড় করে দেখাচ্ছে। তারই সর্বশেষ প্রয়োগ এই ইশতেহার।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার বিজেপি নেতা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের জন্য বিজেপির ইশতেহার প্রকাশ করেন। যেখানে দলটি প্রতিশ্রুতি দেয়, তারা ঝাড়খণ্ড অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করলেও, আদিবাসী পরিচয় পুরোপুরি রক্ষা করবে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ‘অনুপ্রবেশ’ নিয়ে বারবার মন্তব্য করছেন। বিশেষ করে বাংলাদেশিদের লক্ষ্য করে বক্তব্য দিচ্ছেন তিনি। ঝাড়খণ্ডে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিদের কারণে একদিন স্থানীয়রাই সংখ্যালঘু হয়ে যাবে—এমন মন্তব্যও করেছেন অমিত শাহ।
এমন বক্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোর মাধ্যমে ঘটে। সেই সঙ্গে ভারতে আশ্রিত বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রসঙ্গও টেনেছেন হেমন্ত সরেন। তিনি কেন্দ্রের প্রতি প্রশ্ন ছুড়েছেন, কিসের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে কেন্দ্র সরকার।
রোববার গড়ওয়াড়া আসনের রাঙ্কায় একটি নির্বাচনী সমাবেশে বক্তৃতা করার সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি জানতে চাই, বিজেপির কি বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো অভ্যন্তরীণ সমঝোতা আছে?
হেমন্ত বলেন, আমাদের জানান, কিসের ভিত্তিতে আপনি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ভারতে অবতরণ এবং আশ্রয় নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। অনুপ্রবেশকারীরা বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোর মাধ্যমে ভারতে প্রবেশ করে। তারাই এটি বলছে।
বিজেপির ইশতেহার প্রকাশের সময়, অমিত শাহ ঝাড়খণ্ড রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ‘অনুপ্রবেশকারীদের’ আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করেন।
অমিত শাহ বলেন, আপনারা অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিয়েছেন। তাদের আপনার ভোট ব্যাংক করেছেন। আজ আমি ঝাড়খণ্ডের জনগণকে জানাতে চাই, বিজেপি তোষণের রাজনীতির অবসান ঘটিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের বিতাড়িত করবে এবং ঝাড়খণ্ডকে পুনর্গঠন করবে।