জাপানে সাধারণ নির্বাচন
ক্ষমতাসীন এলডিপির ভরাডুবি, সরকার গঠনে অনিশ্চয়তা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪৮ পিএম
জাপানের সাধারণ নির্বাচনে ভোট কার্যক্রম শেষ হয়েছে, এখন ফল ঘোষণাও চলছে। তবে সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, দেশটির ক্ষমতাসীন জোট সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।
রোববার জাপানে ভোট গণনা শেষে প্রাথমিক ফলাফলে যা বোঝা যাচ্ছে তা হলো- বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির ভবিষ্যৎ সরকারে আবারও পরিবর্তন আসতে চলেছে।
নিপ্পন টিভির এক জরিপে দেখা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার এলডিপি ও এর ছোট জোট সঙ্গী কোমেইতো মোট ১৯৮টি আসন পেতে পারে। যা মোট ৪৬৫ আসনের সংসদে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা (২৩৩ আসন) থেকে অনেক কম।
এবারে নির্বাচনই এলডিপির সম্ভাব্য সবচেয়ে খারাপ ফলাফল বয়ে এনেছে, যা ২০০৯ সালে ক্ষমতা হারানোর পরও দেখা যায়নি।
এদিকে প্রধান বিরোধী দল কনস্টিটিউশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অব জাপান (সিডিপিজে) ১৫৭টি আসন পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এতে ইশিবার দলের বিরুদ্ধে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং একটি অর্থ কেলেঙ্কারির জন্য ভোটাররা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক চুক্তির সম্ভাবনা
ভোটের এই ফলাফলের ভিত্তিতে ছোট দলগুলো, যেমন- ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ফর দ্য পিপল (ডিপিপি) এবং জাপান ইনোভেশন পার্টি দেশটিতে সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাপানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম এনএইচকের জরিপে ডিপিপির ২০ থেকে ৩৩টি এবং জাপান ইনোভেশন পার্টির ২৮ থেকে ৪৫টি আসন পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
তবে উভয় দলের নীতি এলডিপির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ডিপিপি প্রধান ইউইচিরো তামাকি এলডিপি-নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে সহযোগিতার সম্ভাবনা উন্মুক্ত রাখলেও ইনোভেশন পার্টির প্রধান নোবুয়ুকি বাবা বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
অর্থনীতির ওপর প্রভাব
প্রতিবেদনে জানা গেছে, নির্বাচনের এই অনিশ্চয়তা ইতোমধ্যেই অর্থনৈতিক বাজারে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। যার ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে জাপানি শেয়ার বাজারে বিক্রির প্রবণতা দেখা দিতে পারে।
এ বিষয়ে মিজুহো রিসার্চ অ্যান্ড টেকনোলজিসের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ সাইসুকে সাকাই মন্তব্য করেছেন, ‘ক্ষমতাসীনদের প্রতি ভোটারদের রায় প্রত্যাশার চেয়ে কঠোর হয়েছে’।
সরকারে শক্তিশালী নেতৃত্বের অভাবে অর্থনৈতিক নীতিগুলো বাস্তবায়ন করা কঠিন হতে পারে এবং ব্যাংক অব জাপান যদি সুদের হার বাড়াতে চায়, তবে এটি আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠবে বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। সূত্র: রয়টার্স