যুদ্ধবিরতিতে নতুন আলোচনা শুরুর ঘোষণা, ব্লিঙ্কেনের নয়া পরিকল্পনা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩০ পিএম
যুক্তরাষ্ট্র এবং কাতার বৃহস্পতিবার গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনার পুনরারম্ভ ঘোষণা করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এদিন জানিয়েছেন, মাসব্যাপী ব্যর্থতার পর নতুন উপায় খুঁজে বের করেছেন মধ্যস্থতাকারীরা।
মার্কিন নির্বাচনের আগে এবং আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ব্লিঙ্কেন গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ও হামাসের হাতে থাকা বন্দিদের মুক্তির জন্য একটি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনায় বসেছেন। গত সপ্তাহে হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যার পর আলোচনার গতি বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ব্লিঙ্কেন বৃহস্পতিবার কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল থানির সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করেন এবং বলেন, ‘আমরা এই মুহূর্তটি কাজে লাগানোর জন্য এবং প্রক্রিয়াটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছি’।
উভয়েই একটি পরিকল্পনার দিকে মনোনিবেশ করছেন। যাতে ইসরাইল গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে পারে, হামাস পুনর্গঠিত হতে না পারে এবং ফিলিস্তিনি জনগণ তাদের জীবন ও ভবিষ্যত পুনর্নির্মাণ করতে পারে- এই বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল, উল্লেখ করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ বিষয়ে কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসরাইলি ও মার্কিন প্রতিনিধিরা দোহায় যুদ্ধবিরতি আলোচনায় বসবে। তবে ব্লিঙ্কেন আলোচনা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
এদিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইসরাইলি প্রতিনিধিদল আগামী রোববার দোহায় পৌঁছাবে।
এর আগে আলোচনা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত মে মাসে একটি পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন, যা যুদ্ধবিরতির সময় আটক বন্দিদের মুক্তির পথ তৈরি করবে। তবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু গাজা-মিশর সীমান্তে ইসরাইলি সেনাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার বিষয়ে জোর দেওয়ায় সে আলোচনা থমকে যায়।
এদিকে কাতারি মধ্যস্থতাকারীরা সিনওয়ারের মৃত্যুর পর হামাসের সঙ্গে আবার যোগাযোগ শুরু করেছে। এ বিষয়ে কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, হামাসের পক্ষ থেকে এখনও সুস্পষ্ট কোনো দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়নি।
ব্লিঙ্কেন জানান, যুক্তরাষ্ট্র গাজায় নতুন কাঠামো নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত এবং তাদের আশা এই নতুন আলোচনা থেকে উন্নততর দিকনির্দেশনা পাওয়া যাবে।
এছাড়াও গাজার পুনর্গঠন এবং যুদ্ধ-পরবর্তী শাসন ব্যবস্থার একটি পরিকল্পনা তৈরি করার গুরুত্বও তুলে ধরেন ব্লিঙ্কেন। সেই সঙ্গে তিনি ফিলিস্তিনিদের জন্য আরও ১৩৫ মিলিয়ন ডলার সাহায্য ঘোষণা করেছেন, যা যুদ্ধের শুরু থেকে মোট ১.২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। সূত্র: আল আরাবিয়্যাহ