বায়তুল মোকাররমে হামাসপ্রধান সিনওয়ারের গায়েবানা জানাযা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২৫ পিএম
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে হামাসপ্রধান
ইয়াহিয়া সিনওয়ারের গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার যোহরের নামাজের পর বায়তুল
মোকাররমের দক্ষিণ গেটে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় শহিদ
হামাসপ্রধান ইয়াহিয়া ইব্রাহিম হাসান সিনওয়ারের গায়েবানা জানাযার নামাজ আদায় করে বাংলাদেশ
ইসলামী ছাত্রশিবির। সংগঠনটির সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলামের ইমামতিতে জানাযা সম্পন্ন
হয়।
জানাযার আগে ছাত্রশিবিরের অফিস সম্পাদক
নুরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান
করেন।
এর আগে সংগঠনটি একটি যৌথ শোকবার্তায়
সিনওয়ারের শাহাদাতে শোক প্রকাশ করে। শোকবাণীতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘শহীদ ইয়াহিয়া সিনওয়ার
১৯৬২ সালে গাজার খান ইউনিস শরণার্থী ক্যাম্পে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের
ভোটাভুটির মাধ্যমে ইসরাইলের প্রতিষ্ঠার পর তার পরিবার মাজদাল আসকালান ছেড়ে গাজার খান
ইউনিসে বসবাস শুরু করে। সেখানে শরণার্থী হিসেবে তাদের জীবন শুরু হয়। সিনওয়ার ২২ বছর
ইসরাইলের কারাগারে কাটান এবং ২০১১ সালে বন্দি বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে মুক্তি পান।
২০১৭ সালে হামাসের গাজা শাখার প্রধান হন এবং চলতি বছরের জুলাইয়ে ইসমাইল হানিয়ার শাহাদাতের
পর তিনি হামাসের প্রধান নেতার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য তিনি
বীরের মতো লড়াই করে জীবন উৎসর্গ করেছেন। বিশ্বের সকল স্বাধীনতাকামী সংগঠন ও মুসলিম
উম্মাহ তার এই ত্যাগ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বিশ্ব ইসলামী আন্দোলনের
জন্য ইয়াহিয়া সিনওয়ার ছিলেন একজন অন্যতম অগ্রনায়ক। বিশ্ববিজয়ী বীর শহীদ ইয়াহিয়া
সিনওয়ারকে হারিয়ে আমরা গভীরভাবে শোকহত! আমরা বিশ্বাস করি, ফিলিস্তিন এবং গাজার মজলুম
জনগণের মুক্তি সংগ্রামের এই অবিসংবাদিত নেতা তার জীবনে যে বিশাল দায়িত্ব আঞ্জাম দিয়েছেন,
ইতিহাসের পাতায় তার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে, ইনশাআল্লাহ।
মহান আল্লাহ তার শাহাদাত কবুল করুন
এবং তার পরিবার ও সহযোদ্ধাদের এই শোক কাটিয়ে ওঠার তাওফিক দান করুন, আমীন।’