ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যা করেছে ইসরাইল। আগে ইসমাইল হানিয়া, পরে সিনওয়ার- পরপর দুই শীর্ষ নেতাকে হত্যা করল ইসরাইল।
এরপর হামাসের নতুন নেতা কে হবেন- তা নিয়ে চলছে জল্পনা। শনিবার সিএনএনের প্রতিবেদনে কয়েকজন শক্তিশালী নেতার নাম তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, গাজায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ভাই মোহাম্মদ সিনওয়ার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেতে পারেন।
এদিকে সিনওয়ারের ডেপুটি খলিল আল-হাইয়াকেও সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। শুক্রবার তিনি বলেছেন, গাজা থেকে ইসরাইলি সেনাদের প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ শেষ হবে না ও জিম্মিদেরও ফিরিয়ে দেওয়া হবে না।
হামাসের প্রভাবশালী নেতাদের একজন খালেদ মেশাল। তিনি সংগঠনের রাজনৈতিক শাখার সাবেক প্রধান। সিনওয়ার হত্যাকাণ্ডের পর হামাসের হাল তিনিও ধরতে পারেন।
এর আগে জুলাই মাসে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে ইরানে হত্যা করা হয়। হানিয়ার মৃত্যুর পর সিনওয়ারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তিনি সামরিক ও রাজনৈতিক নেতার দায়িত্ব পালন করছিলেন।
শুধু ইসমাইল হানিয়া বা ইয়াহিয়া সিনওয়ারই নন, ইসরাইল আগেও হামাসের একাধিক নেতাকে হত্যা করেছে। তাদের মধ্যে ২০০৪ সালে হত্যা করা হয় সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা শেখ আহমেদ ইয়াসিনকে। এ হত্যাকান্ডের কয়েক সপ্তাহ পরই নিহত হন তার উত্তরসূরি আবদেল আজিজ রানতিজি।
প্রতিষ্ঠার পর হামাস এভাবে কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে হারালেও বারবারই ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। তবে এ মুহূর্তে তারা কীভাবে আবার সংগঠিত হবে, তা নিয়ে বলা কঠিন। কেননা, সিনওয়ারের নেতৃত্বে হামাসের সাংগঠনিক কাঠামোয় কতটা পরিবর্তন এসেছে, সেটি পরিষ্কার নয়।
হামাসের দুই শীর্ষ নেতা নিহত হওয়ার পর সংগঠনে নিজের ক্ষমতা সুসংহত করেছিলেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার। গাজায় হামাসের একক সিদ্ধান্তপ্রণেতা হিসাবে অবির্ভূত হন তিনি।
এদিকে হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের হত্যা নিয়ে ইরান জানিয়েছে, এতে প্রতিরোধ বাহিনীগুলোর চেতনা আরও শক্তিশালী হবে। লেবাননের সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ইসরাইলের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধকে নতুন ও গতিশীল ধাপে নিয়ে যাওয়া হবে।