পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইমরান খানের দুই বোন আলিমা খান ও উজমা খানকে শনিবার রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেল থেকে ঝেলুম জেলা জেলে স্থানান্তর করা হয়েছে। 

এদিন পুলিশের শারীরিক রিমান্ডের আবেদন খারিজ করে তাদের বিচারিক রিমান্ডে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় এন্টি-টেরোরিজম কোর্ট (এটিসি)।

গত সপ্তাহে ইসলামাবাদের ডি-চক-এ পিটিআইয়ের এক প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। 

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ঝেলুম জেলে নিরাপত্তার জন্য সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তারা আরও জানায়, ঝেলুম জেলে মোট ৫০০ জন বন্দীকে স্থানান্তর করা হবে, তবে তাদের ছোট ছোট দলে ভাগ করে স্থানান্তর করা হচ্ছে।

এর আগে, রাওয়ালপিন্ডিতে এটিসি পুলিশের শারীরিক রিমান্ডের আবেদন খারিজ করে দুই সন্দেহভাজনের জামিন আবেদন সংক্রান্ত নোটিশ জারি করে।

তার আগে আলিমা ও উজমাকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আদালতে হাজির করা হয় এবং দুই পক্ষের আইনজীবীরা তাদের যুক্তি তুলে ধরেন।

তাদের আইনজীবী নিয়াজউল্লাহ খান নিয়াজি দাবি করেন যে, পুলিশ আরও শারীরিক রিমান্ডের জন্য পর্যাপ্ত কারণ দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। অন্যদিকে প্রসিকিউটর রাজা নবীদ পুলিশকে আরও রিমান্ড দেওয়ার দাবি করেন। কারণ তাদের মোবাইল ফোনসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ উদ্ধার করতে আরও সময় প্রয়োজন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী উসমান রিয়াজ গিল বলেন, নারীদের রিমান্ডের জন্য বিশেষ আইন রয়েছে, যা সঠিকভাবে অনুসরণ করা হয়নি। তিনি আদালতে তার মক্কেলদের প্রতিবাদ সমাবেশের ফুটেজ দেখানোর অনুরোধ জানান, যা পুলিশি কর্মকাণ্ডের বেআইনিতা প্রমাণ করতে পারে। 

তবে বিচারক তাহির আব্বাস সিপরা এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ইউএসবি পুলিশের তদন্তকারীদের দ্বারা পর্যালোচনা করা উচিত।

বিচারক প্রসিকিউশনের ব্যাখ্যায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং উল্লেখ করেন যে পুলিশকে মামলার প্রতিটি উন্নয়ন সঠিকভাবে নথিভুক্ত করা উচিত ছিল। আদালত পরবর্তী শুনানির তারিখ ১৯ অক্টোবর নির্ধারণ করে দুই সন্দেহভাজনের জামিন আবেদনের ওপর নোটিশ জারি করে। সূত্র: ডন