হামাস-হিজবুল্লাহর ২৩০ লক্ষ্যবস্তুতে ইসরাইলের হামলা
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২৮ পিএম
গাজা ও লেবাননের বিভিন্ন স্থানে ভবন, রকেট লঞ্চার এবং হামাস ও হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি বাহিনী। ইসরাইলের বিমানবাহিনী হামাস ও হিজবুল্লাহর ২৩০টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে হিজবুল্লাহর প্রায় ১৮৫টি এবং হামাসের ৪৫টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়। খবর আল জাজিরার।
এদিকে মধ্য গাজায় ইসরাইলের হামলায় পাঁচ শিশু এবং দুই নারীসহ কমপক্ষে ২৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরাইলের সামরিক বাহিনী পরিকল্পিতভাবে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত অঞ্চলটি খালি করার জন্য কাজ করছে। সেখানে বেসামরিকরা বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরই গাজায় পালটা আক্রমণ চালায় ইসরাইল। এক বছরের বেশি সময় ধরে গাজার বিভিন্ন স্থানে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী।
গত এক বছরে গাজায় ৪১ হাজার ৯৬৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইল। এছাড়া আরও ৯৭ হাজার ৫৯০ জন আহত হয়েছে। হতাহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।
এছাড়া ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু লেবাননকে সতর্ক করেছেন, এটি ‘গাজার মতো ধ্বংসযজ্ঞের মুখোমুখি হতে পারে’।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে, সোমবার সারা দেশে ৩৬ জন নিহত এবং ১৫০ জন আহত হয়েছেন।
নেতানিয়াহু লেবাননের জনগণের উদ্দেশে বলেছেন, তারা যেন গাজার মতো ধ্বংস ও দুর্ভোগ এড়াতে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে বিতাড়িত করে। ইসরাইল হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে তাদের চলমান স্থল অভিযানের ব্যাপকতা আরও বৃদ্ধির পর মঙ্গলবার নেতানিয়াহু এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
লেবাননের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের নতুন একটি স্থানে আরও হাজার হাজার সৈন্য পাঠিয়েছে ইসরাইল। নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) অর্থাৎ ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী হিজবুল্লাহর সাবেক নেতা হাসান নাসরাল্লাহর উত্তরসূরিকে হত্যা করেছে।
তবে পরবর্তীতে আইডিএফ বলেছে, তারা হাশেম সাফিয়েদ্দিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি। হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা টানা তিন দিন ধরে ইসরাইলের বন্দর নগরী হাইফার দিকে রকেট নিক্ষেপ করছে। এতে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।