ইরানের তেল স্থাপনায় আক্রমণ নিয়ে আলোচনা চলছে: বাইডেন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২০ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
ইরানের তেল স্থাপনায় সম্ভাব্য ইসরাইলি আক্রমণ নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার এমন মন্তব্যের পর বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম প্রায় তাৎক্ষণিকভাবেই বেড়ে যায়।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকরা বাইডেনকে প্রশ্ন করেন, ইসরাইল কি ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দিতে গিয়ে তেহরানের তেল স্থাপনায় আক্রমণ চালাবে? জবাবে বাইডেন বলেন, আমরা আলোচনা করছি।
বাইডেনের এই মন্তব্যের পরেই আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম পাঁচ শতাংশ বেড়ে যায়। বাইডেন অবশ্য বলেছেন সর্বাত্মক লড়াই এড়ানো যাবে বলে তিনি মনে করেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, আমি মনে করি, আমরা তা এড়াতে পারব। তবে আমরা ইসরাইলকে সাহায্য করব।
জো বাইডেন বলেন, আজই কিছু হচ্ছে না। তিনি বলেন, ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে ইসরাইলের হামলা তিনি সমর্থন করেন না।
জাতিসংঘে ইসরাইলের দূত ড্যানি ড্যানন বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, প্রত্যাঘাতের ক্ষেত্রে অনেক বিকল্প আছে। আমরা শিগগিরই তেহরানকে আমাদের শক্তি কতটা তা দেখাতে পারব।
গত মঙ্গলবার ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে ইরান। তারপরেই ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, তারা প্রত্যাঘাত করবেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, আক্রান্ত হলে তারাও প্রত্যাঘাত করতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী, জঙ্গি হামলা হলে বা কেউ যদি সীমা অতিক্রম করে, তাহলে আমাদের সেনাবাহিনী তার জবাব দেবে।
এদিকে, বৈরুতে ইসরাইলের বিমান হামলা অব্যাহত আছে। শুক্রবার সকালেও বৈরুত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে ইসরাইলের বিমান হামলা হয়েছে বলে লেবাননের পরিবহণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
এর ফলে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানা যায়নি। এ ছাড়া বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলের শহরতলিতেও মধ্যরাতের পর ইসরাইলের বিমান হামলা হয়েছে।
নিউইয়র্ক টাইমসের রিপোর্ট বলছে, হাসান নাসরুল্লাহর সম্ভাব্য উত্তরাধিকারী হিসাবে যাকে ভাবা হচ্ছে, সেই হাশেম সাফিয়েদ্দিনকে টার্গেট করেছে ইসরাইল। তবে ইসরাইলের সেনাবাহিনী এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।
লেবাননে ইসরাইলের আক্রমণে ২৮ জন স্বাস্থ্যকর্মী মারা গেছেন বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে। তারা বলেছে, ৩৬টির মতো স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ করে দিতে হয়েছে। বৈরুতে পাঁচটি হাসপাতাল হয় পুরোপুরি বা আংশিকভাবে খালি করে দেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘের এই সংস্থার প্রধান জানিয়েছেন, যেসব জায়গায় বোমা পড়েছে, সেখান থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা পালিয়ে গেছেন। তাই তারা কাজে আসতে পারছেন না। বৈরুত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অধিকাংশ সময় বন্ধ থাকায় তারা ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠাতে পারেননি।