বন্যা ও ধসে বিধ্বস্ত নেপালের কোশী নদী থেকে পানি ছাড়ায় এ পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় বন্যার আশঙ্কা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি জানিয়েছেন ফরাক্কা ব্যারাজে দুই দশক ড্রেজিং না হওয়ার ফলে কোশী নদীর পানি বিহার হয়ে গঙ্গা দিয়ে বাংলায় প্রবেশ করতে থাকলে পরিস্থিতি গুরুতর হতে পারে।
এমনিতেই ভারী বৃষ্টির কারণে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা কোশী নদীর ছাড়া পানির কারণে মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহারসহ একাধিক জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রোববার উত্তরবঙ্গে পৌঁছন তিনি, প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন , দক্ষিণবঙ্গ ডিভিসি-র পনি যেমন ভেসেছে, উত্তরবঙ্গে নেপাল থেকে কোশী নদীর পানি ছেড়েছে। ৫ লক্ষ কিউসেক টন পানি ছেড়েছে। ওই পানি বিহার হয়ে বাংলায় ঢুকছে। কেন্দ্র ফরাক্কা ব্যারাজে ড্রেজিং করে না। না হলে, ফারাক্কায় আরও পানি জমা রাখতে পারত। যার জন্য বিহারও ডোবে, বাংলাও ডোবে।
এদিকে, ভারী বৃষ্টির জেরে বন্যা ও ধসে বিধ্বস্ত নেপাল। সোমবার সকাল পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, নেপালে এখনও পর্যন্ত ১৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে, ৪২ জন নিখোঁজ এবং ১১১ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে নেপাল থেকে পানি ছাড়া হয়েছে যার প্রভাব ভারতে পড়ছে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
এই অবস্থায় কোশী, মহানন্দা এবং গণ্ডক নদীতে জলস্ফীতির কারণে ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার ফলে বিহারের একাধিক জেলার অবস্থা আশঙ্কাজনক প্লাবিত। এরই সঙ্গে বাংলাদেশের উত্তর বঙ্গও ডুবছে পানিতে।