বিদেশি কর্মীদের বৈধকরণ কর্মসূচি
মালয়েশিয়ায় মেয়াদ বাড়াতে ৪ শতাধিক নিয়োগ কর্তার আবেদন
আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া
প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৭ পিএম
মালয়েশিয়ায় অবৈধদের বৈধকরণ কর্মসূচি আরটিকে-২.০ এর অধীনে বিদেশি কর্মীদের নতুন নিবন্ধন ও নিবন্ধন পূর্ববর্তী পেমেন্টের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য দেশটির ৪ শতাধিক কোম্পানির মালিক মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে (কেডিএন) আবেদন করেছেন।
দেশটির সরকারি গণমাধ্যম ‘বারনামা’ জানিয়েছে, কোম্পানি মালিকদের একজন প্রতিনিধি সয়াহ পুত্র মারওয়ান বলেছেন, কোনো পূর্ব বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই আরটিকে-২.০ কর্মসূচি বন্ধ করার ফলে দেশে অবৈধ অভিবাসীদের লিগ্যালভাবে নিয়মিত কর্মী হিসাবে কাজে লাগানোর প্রচেষ্টায় মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে।
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়য়ের কেডিএন-এ প্রায় ১০০ কোম্পানি মালিকদের অংশগ্রহণে একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশে স্থানীয় মিডিয়াগুলোকে তারা জানিয়েছে, দেশটির কনস্ট্রাকশন, প্লানটেশন, ম্যানুফ্যাক্টর এবং সার্ভিস সেক্টরগুলো বিদেশি কর্মীদের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। এটি (আরটিকে-২.০) কর্মসূচি বন্ধ হলে, এ সেক্টরগুলো চালানো তাদের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, রিক্যালিব্রেশন কর্মসূচির অধীনে নিয়মিতকরণ প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা প্রায় ৫ হাজার বিদেশী কর্মী এখনো আটক হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে, যদিও তারা আরটিকে-২.০ কর্মসূচির অধিনে রেজিস্ট্রেশন করে আইন মেনে চলার পদক্ষেপ নিয়েছিলো।
আবেদন করার প্রক্রিয়া বন্ধের কারণে আরটিকে-২.০ এর অধীনে অর্থ দিতে অক্ষম এবং এখন তারা তাদের কর্মীদের নিবন্ধন করতে না পারায় কোম্পানি মালিকরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বলে বারনামাকে জানিয়েছে সয়াহ পুত্রা।
এদিকে গত ১০ মার্চ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল বলেছিলেন, সরকার ৩১ মার্চের পরে আরটিকে-২.০ এর অধীনে নিবন্ধিত সমস্ত কোম্পানি মালিকদের জন্য বিদেশি কর্মী বৈধকরণ প্রক্রিয়ার সময় আর বাড়াবে না।
এ সময় মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (কেডিএন) পূর্বে ঘোষণা করেছিলো যে বিদেশি কর্মীদের নিয়োগের জন্য অব্যবহৃত কোটা ১ জুন বাতিল করা হবে।
সেই সময় মন্ত্রণালয়টি আরও জানিয়েছিল, বিদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য সক্রিয় কোটা হিসেবে যার লেভিও জমা দেওয়া হয়েছিল কিন্তু ৩১ মার্চের মধ্যে ভিসা উইথ রেফারেন্স (ভিডিআর) জারি করা হয়নি, সেগুলোও বাতিল করা হবে।
তবে আরটিকে-২.০ কর্মসূচির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনের ফলে অবৈধ প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে স্বস্তির নিঃশ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে।